গ্রেফতাররা হলেন হাফিজার রহমান, মশিয়ার রহমান ভুট্টু, লিপি বেগম, খোরশেদ আলম, রুবেল মিয়া, আফতাব হোসেন ও রাজু মিয়া। তারা সবাই অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য।
শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার।
তিনি জানান, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় নগরীর পরশুরাম থানার কোবারু ডাক্তারপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়িতে আত্মীয়তার সুবাদে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা প্রবেশ করে। এ সময় তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধের গুড়া মিশিয়ে দেয়। রাতে খাবার খেয়ে বাড়ির সদস্যরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।
এ ঘটনায় পরশুরাম থানায় মামলা হলে পুলিশ রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় অভিযান চালিয়ে এই সাতজনকে গ্রেফতার করে।
এর আগে শুক্রবার রাতে গাইবান্ধার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা হাফিজার রহমানকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন। পরে তাদের কাছ থেকে চোরাই এগারটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার করা হয়।