1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. towhid472@gmail.com : TOWHID AHAMMED REZA : TOWHID AHAMMED REZA
অনিয়মের বেড়াজালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খিজির (রা.) জামে মসজিদ, মসজিদের প্রবেশ ছাড়া সব দখলে 
সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগেরহাটে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাষ্করা কুমিল্লায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যার ঘটনায় আটক-৫ কালীগঞ্জে ইউএনও’র ওপর হামলা : ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রাজশাহীতে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৩ উদযাপন স্ত্রীকে হত্যা করে ড্রামে লাশ, ৯ বছর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার স্বামী মরিয়ম’কে খুঁজছে পরিবার ও পুলিশ, খুঁজ পেলে যোগাযোগ করুণ চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে হত্যাকারী দুই কসাই গ্রেফতার চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেফতার  কেরানীগঞ্জে বটতলী তরুণ সংঘ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার পুলিশ 

অনিয়মের বেড়াজালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খিজির (রা.) জামে মসজিদ, মসজিদের প্রবেশ ছাড়া সব দখলে 

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩, ৩.৪৯ পিএম
  • ৪৫ বার পঠিত

শান্ত ইসলাম দিপু, চট্টগ্রাম 

নগরীর নিদারুন এক মনগ্ধকর পরিবেশের সবসময় পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে সরগরম থাকে পতেঙ্গা সমুদ্র  সৈকত। সৈকতে আসা লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কথা মাথায় রেখে ১৯৮৫ সালে সৈকত ভাসমান ব্যবসায়ী স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় নির্মিত হয় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খিজির (রা.) জামে মসজিদ। মসজিদটি দৈনন্দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজও অনুষ্ঠিত হয়।

 

সৈকতে আসা লক্ষ লক্ষ দেশী বিদেশী পর্যটকের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অনেক সময় নামাজের জন্য জায়গা খুঁজে মসজিদের সাথের স্থাপনার জন্য মসজিদ খুঁজে না পেয়ে আক্ষেক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবার অনেকে বড় সাইনবোর্ড দেখে মসজিদ আছে নিশ্চিত হলেও মসজিদের প্রবেশপথ খুঁজতে গিয়ে বেগ পান।

 

ছৈয়দপুর থেকে আসা আসিফ খন্দকার নামে এক পর্যটক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দেশে বিনোদনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসি সমুদ্রের অনাবিল মুগ্ধতায় নিজেকে উজাড় করতে। আমার এই আসা সৈকতের পরিচ্ছন্নতায় সফল হলেও সৈকত মসজিদে গিয়ে চরম হতাশ। মসজিদ খুঁজতে ২০ মিনিট। আর মসজিদের পাশে স্থাপনা দেখে মনে হল মসজিদটি যেন বিক্রি করার বাকী। দোকানের জন্য এইটা যে মসজিদ বুঝা দায়।

 

মুন্সীগঞ্জ থেকে পরিবারের নিয়ে আসা জাহিদুল অনেকটা একই সুরে বলেন, সব ভাল লাগল নামাজ পড়তে এসে মসজিদের অবস্থা দেখার পর চরম হতাশ আমি।

 

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে মসজিদে শাসন  – সংস্করণ দেখভালের জন্য নির্বাচিত কমিটি থাকলে ১৩ বৎসরে নেই বৈধ কোন কমিটি। মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর সিরাজুল ইসলাম মাষ্টারকে সভাপতি, নুর মোহাম্মদ সাধারণ সম্পাদক ও ওয়হিদুল আলম (প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার) সহ সভাপতি করে মসজিদের কার্যক্রম চলে আসে ভালোভাবে। সেই সময় মসজিদের সামনের অংশে ছিলনা কোন স্থাপনা। সুন্দর এই মসজিদের সব অনিয়ম শুরু হয় সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার সভাপতি পথ থেকে সড়ে দাঁড়ালে এমন অভিযোগ করেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ। তিনি আরো বলেন সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার সভাপতি পথ সড়ে গেলে ওয়হিদুল আলম (প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার) নিজেকে সভাপতি দাবী করে শুরু করেন নানা অনিয়ম, অপকর্ম। সেই থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলতে থাকে ওয়হিদুল আলম (প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার) এর মসজিদের টাকা পয়সা আত্মসাৎ সহ মসজিদের প্রবেশ পথ ছাড়া পুরোটা বিক্রি ও দোকান বসানোর কাজ। পূর্বের ৪ টি দোকান থাকলেও সেখানে ৬টি দোকান যেগুলোর কারণে মসজিদ চিহ্নিত করা অনেকটা কষ্টসাধ্য।

 

মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ আরো অভিযোগ করেন, ১৩ বছর ধরে মসজিদের কোন কমিটি হয়নি। এটা নিয়ে বেশ কয়েকটি দপ্তরে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে একজন সাংসদ মসজিদের উন্নয়নের জন্য অনুদান দিলে সেইটাও ওয়হিদুল আলম (প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার)রা আত্মসাৎ করেন। মসজিদের দানবক্সের টাকা, জুমার নামাজ থেকে উত্তোলন কৃত টাকা, সৈকত থেকে ১০ টাকা করে মসজিদের জন্য উত্তোলন করা টাকা কখনও তারা মসজিদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করেনি বরং আত্মসাৎ করেন এমন অভিযোগ মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ। এরিসাথে ওয়হিদুল আলম (প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার)রা কখনও মসজিদের আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান করেননি।

 

পতেঙ্গা সৈকতের ব্যবসায়ী মাসুদ করিম জানান, মসজিদের নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান মহোদয় রমজানে এসে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খোয়াজ খিজির (রঃ) জামে মসজিদের দানবক্সে তালা লাগিয়ে দেন এবং চাবি সংরক্ষণ করেন এরি সাথে মসজিদের সাথে লাগানো স্থাপনাগুলো ঈদের ১ সপ্তাহ পর নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে নেওয়ার নির্দেশ দেন মৌখিক ভাবে।

 

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ যাওয়ার এক মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও স্থপনাগুলো এখনও বিদ্যমান।

 

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ওয়হিদুল আলম মসজিদ কমিটির সভাপতির পাশাপাশি ক্ষমতাশীল দলের নাম ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি দাবী করিযরে বেআইনিভাবে  পতেঙ্গা বিচ দোকান থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা গ্রহন করেন।

 

অভিযোগ বিষয়ে ওয়হিদুল আলম (প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার) এর সাথে প্রতিবেদক মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে মসজিদ ও সমিতির সভাপতি দাবী করে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান।

 

এদিকে জেলা প্রশাসকের পতেঙ্গার দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রশিক্ষণে বাহিরে আছেন উল্লেখ করে জানান তিনি উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত খোয়াজ খিজির (রঃ) জামে মসজিদ কমিটির ও আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগ পেলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews
%d bloggers like this: