বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংয়ের সময় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজির কর্তাব্যক্তিদের গ্রেফতার প্রমাণ করে অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান কঠোর। বিভিন্ন খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মুখোশের আড়ালে যতই মুখ লুকিয়ে রাখুক না কেনো কোনো অপরাধীই অপরাধে করে ছাড় পাবে না।
তিনি বলেন, যে যতই ক্ষমতাশালী হোক শেষ পর্যন্ত তাকে ধরা পড়তেই হবে। অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই, দুর্বৃত্তের কোনো দল নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে কোরবানির ঈদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে, তাই পশুরহাট এবং অন্যান্য এলাকায় সমাগম এড়িয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ঝুঁকি কমতে পারে। তা না হলে ক্ষণিকের অবহেলা কিংবা শৈথিল্য ঈদের সার্বজনীন আনন্দ সার্বজনীন বিষাদে রূপ নিতে পারেন।
ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সবাই যদি সচেতনতার দূর্গ গড়ে তুলি তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ভয়কে জয় করবো ইনশাআল্লাহ।
করোনা যুদ্ধে সামনের সারির সাহসী যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এরইমধ্যে অনেকে সম্মুখসারির যোদ্ধা মানবতার কল্যাণে এবং সেবাকে মহান ব্রত করে প্রাণ দিয়েছেন। তাদের এ আত্মদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
এর আগে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও জাইকা প্রধান Hayakawa yuho এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত জাপান সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের প্রকল্পসমূহ বিশেষ করে মেট্রোরেলসহ অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি ত্রি-পাক্ষিক সভার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া দেশের উন্নয়নে বিশেষ করে সড়ক, সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা ও অর্থায়নে জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।