জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ- নিরেন দাস
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এর ৪র্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কর্মসুচি মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় পর্যায়ের জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সুধীজনদেরকে নিয়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৬ মার্চ) সকালে এসডিএস, জয়পুরহাটের বাস্তবায়নে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ।
উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা বুলবুলি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, আক্কেলপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষা হলো জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবি কাঠি। এ উপলব্ধি থেকে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করে নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেতে গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান প্রণীত হয় এ সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদ দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তিনি ১৯৭৩ সালে বেসরকারিভাবে পরিচালক ৩৬১৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে জাতীয়করণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা ১ লক্ষ ৫ হাজার শিক্ষকের চাকুরী সরকারিকরণ করেন যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইনের সঙ্গায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা হলো আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ঝরে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং পদ্ধতিগতভাবে বিন্যস্ত শিখন প্রক্রিয়া যা জীবনব্যাপী শিক্ষা পর্যন্ত বিস্তৃত।
উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে”ঝড়ে পড়া ভর্তি না হওয়া”৮-১৪ বছরে বয়সী শিশুদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য দ্বিতীয় বার সুযোগ দেয়া এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলধারায় নিয়ে আসা। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণের পর কারিগরি/মানসম্মত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে উৎপাদনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কথা সভায় তুলে ধরা হয়।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..