লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন :
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন,” কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এবং আরো ব্যাপক ভাবে দেওয়া হবে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সকল প্রাপ্ত বয়সী নাগরিককে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে”।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আরো বলেন,” আমাদের যেতে এখনও অনেক দীর্ঘ পথ রয়েছে বাকী এবং নিঃসন্দেহে রাস্তায় বাঁধার সৃষ্টি হবে। তবে আমরা যা অর্জন করেছি, আমি জানি আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে পারি। চাই সবার সার্বিক সহযোগিতা,”।
সরকার এবং এনএইচএস করোনাভাইরস মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করার ফলেই করোনা প্রতিরোধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আসতে শুরু করেছে। ৬৫ উর্ধ বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে । ১৫ই এপ্রিল থেকে ৫০ উর্ধ বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হব। এরপর পর্যায়ক্রমে সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে। জুলাই মাসের মধ্যে সব বয়সী মানুষকে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এরপর হবে করোনামুক্ত সুন্দর পৃথিবী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার উপর এবং একই সাথে বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই প্রধানমন্ত্রী লক ডাউন শিথিল সহ পরবর্তী কার্যকর্ম ঘোষনা করা।
এনএইচএস এর সিইও বলেন,” গত ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। বয়স ভিত্তিক প্রাধান্য দিয়ে ৯০ উর্ধ, ৮০ উর্ধ, ৭০ উর্ধ, ৬৫ উর্ধ বয়সীদের এবং সেই সাথে বেশী অসুস্থ্য রোগী, কেয়ার হোম, ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, পুলিশ এবং ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগামি ১৫ এপ্রিল থেকে ৫০ উর্ধ বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ধারারাহিকতায় আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ব্রিটেনের সকল বয়সী সকল নাগরিককে ভ্যাকসিন হেওয়া হবে”।
সরকার এবং এনএইচএস মনে করে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে বা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হলে করোনাভাইরস রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে আসবে। ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন।