1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. towhid472@gmail.com : TOWHID AHAMMED REZA : TOWHID AHAMMED REZA
আগামী দেড় মাসে সংক্রমণের শিখরে পৌঁছবে বাংলাদেশ
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রলীগের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ  ময়মনসিংহ-ঢাকা মহা সড়ক অবরোধ ত্রিশাল সংস্কারের দাবীতে  বিক্ষোভ সবাইকে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়পুুরহাট জেলা প্রশাসক-সালেহীন তানভীর গাজী গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের ম্যুরাল উদ্বোধন  সৈয়দপুরে এফওএ স্কুলের ১১ শ’ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ পাঁচবিবিতে তথ্য আপা প্রকল্পের বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের খরিপ-১মৌসুমে ১০০০জন কৃষকের মাঝে পাট বীজ বিতরন যুদ্ধ দিনের স্মৃতি : বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুস সামাদ বসুনিয়া  কুড়িগ্রামে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত নান্দাইলে নিজ উঠানে স্ত্রীর সামনে যুবককে কুপিয়ে হত্যা পালানোর সময় ঘাতক আটক

আগামী দেড় মাসে সংক্রমণের শিখরে পৌঁছবে বাংলাদেশ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০, ৯.৩৬ এএম
  • ১২৭ বার পঠিত

ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৮ মার্চ। সেই থেকে মাত্র ১০৪ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। এই হিসাবে বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা পিক বা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে আরও দেড় মাসের মতো লাগতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর প্রথম কয়েক দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক অঙ্কের ঘরে। তখন টেস্টের হারও ছিল বেশ কম। পরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শনাক্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রথম রোগী খুঁজে পাওয়ার প্রায় এক মাসের মাথায় গত ৯ এপ্রিল এক দিনে শতাধিক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরও প্রায় এক মাস পর গত ১১ মে এক দিনে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ায়। এভাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায় গত ২ জুন।

অর্থাৎ বাকি ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে শেষ ১৬ দিনে। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এভাবেই বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিখরে পৌছবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ‘জুন মাসের শুরু থেকেই গ্রাফটা সোজা ওপরে উঠছে। এটা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে থাকবে।’

ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকে গেছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে ও বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ আক্রান্ত এখন ভারতে। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা 1 লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১০৯ দিন, সেখানে বাংলাদেশে লেগেছে আরও কম। এ ছাড়া ইতালি-ব্রাজিলের কয়েকটি শহরে যেভাবে সংক্রমণের বিস্ফোরণ দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশেও কোনো একটি জনপদে তেমন ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আরেক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে স্বল্প আয়ের মানুষেরা গাদাগাদি করে বসবাস করে। এমন পরিবেশে আক্রান্তের সংখ্যায় বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়, অনেকটা ব্রাজিলের সাও পাওলো বা রিও ডি জেনিরোতে যেমনটা দেখা গেছে।’

বাংলাদেশে পিক টাইম আসবে কবে যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণের পিক টাইম স্থায়ী ছিল প্রায় ৪২ দিন। ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে পিক টাইম স্থায়ী হয়েছিল আরও কম। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দ্রুতগতিতে বেড়েছে, তেমনি দ্রুত কমেও গেছে। ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে ধীরে ধীরে নেমে আসা, এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দুই মাসের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের তিন মাস পার হলেও এখনো দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দেশে করোনা সংক্রমণ কবে নাগাদ শিখরে পৌঁছবে সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পিক টাইম কখন আসবে এবং সেটা কতদিন স্থায়ী হবে তা নির্ভর করছে কত টেস্ট করা হচ্ছে, মানুষ কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, সরকার কতটা কড়াকড়ি আরোপ ও তার বাস্তবায়ন করছে এসবের ওপর। চীন ও ইতালির মতো বাংলাদেশও যদি শুরু থেকেই লকডাউনের কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসত, তা হলে এত দিনে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে আবার নিচে নামা শুরু হয়ে যেত। তবে এখনো যদি কঠোরভাবে জোনভিত্তিক লকডাউন কার্যকর করা হয়, রোগী শনাক্ত করে তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়, তা হলে সংক্রমণের বিস্ফোরণ রোধ করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পিক টাইম দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন মুশতাক হোসেন।

একই মত বেনজির আহমেদেরও। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের ঝুঁকি হিসেবে যদি এক হাজার হটস্পট বা রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয় এবং প্রতিটি রেড জোনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে কড়াকড়ি আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়, তা হলে আগামী ৪২ দিনের মাথায় সংক্রমণের পিক টাইম দেখা যেতে পারে। না হলে আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews
%d bloggers like this: