তাজ চৌধুরী,দিনাজপুর ব্যুরো:
আজকের এই দিনে কবি ফজলে রহমান চৌধুরী জন্ম গ্রহণ ও মৃত্যু বরণ করেন।
তিনি ১৯৩০ ইং সালের দশেই মহরম পাচঁরা পরগনার জমিদার শ্রী পতিবদ্দিন চৌধুরীর ৪র্থ পুত্র হিসেবে জন্ম গ্রহন করেন। তার মাতার নাম সাহাবী বিবি তিনি খানসামা উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে জন্বাম গ্রহন করেন। বাল্যকালে তার ডাক নাম বাফির ছিলো। ছোট কালে তার বাবা মা মারা যাওয়ার পর সৎ ভাইয়ের সংসারে অনেক কষ্টে তিনি বড় হন। তিনি ছোট কাল থেকে সাহিত্য অনুরাগি ছিলেন। তিনি দিনাজপুর এন গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস, দিনাজপুর সঙ্গীত কলেজ থেকে আই মিউজ্যিকপাস ও হেমিও কলেজ থেকে ডিএইচ এম এইচ পাস করেন। তার প্রথম প্রকাশ “ভুলপথে যেওনা” ১৯৫২ সালে। বিপ্লবী অনেক গান ও কবিতা রচনা করেন তিনি। তার সংগ্রামী জীবনে তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথ্থানে ৩ জন পাকিস্থানি পুলিশকে মেরে কোমরে রশি দিয়ে বেধে দিনাজপুর কোর্টে চালান করেন।
১৯৭১ সালে ৭ নাম্বার সেক্টরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। পরবর্তী কালে লেখা লেখি ছাড়াও তিনি আধ্যাতিক সাধক ছিলেন।
খানসামা উপজেলায় ফুলপ্যান্ট পরা নিয়মিত চলাফিরা করা একমাত্র প্রথম মানুষও তিনি ছিলেন।
তার হাতে প্রতিষ্ঠিত খানসামার জমিদার নগর বাজার, পাচঁপীর মাদ্রাসার নাম করন তিনি করেন। সাদা মনের মানুষ ছিলেন বলেন তার জমাজমি অন্য মানুষরা নিজের মত করে ভোগ করতো।
তাছাড়াও তার অনেক গান দেশ বিদেশ খ্যাত, যে গান গুলি কোন খানে সংগ্রহীত আবার কোন খানে কেউ গীতিকার হিসেবে তাদের নিজের নামের পরিচিতিতে তুলে ধরেছেন।
তার কথা ও সুরে কয়েকটি গান বাংলাদেশের প্রথম কাহিনী ভিত্তিক গীতি নাট্য “দাদা মোখো দিয়াও দে” গীতিনাট্যে কণ্ঠ দিয়েছেন ফেরদৌসী ইয়াসমিন চৌধুরী। তিনি ২০০৫ ইং সালে দশেই মহরম না ফিরার দেশে চলে যান। তার মারা যাওয়ার পরে “বিষাদে ব্যাকুল বাঁশরী” নামে কাব্যগ্রন্থ তার বড় ছেলে বের করেন। আরো কয়েকটি বই বের হতে যাচ্ছে। যে বইগুলি হলো ফজলে গীতি কাব্য, সাহারা বানু, মরনের পরে, কেশবতি, আমার হারিয়ে যাওয়া দিন গুলি সহ অনেক বই বাজারে আসছে। স্ত্রী জামিনা বেগম চৌধুরী দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার ৯০ তম জন্ম বার্ষিকী ও ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে কবির পরিবারে সদস্যরা দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।