1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
আজ পবিত্র আশুরা, কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল দিন
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থী খোরশেদ আলম বায়েজিদ থানা পুলিশের অভিযানে ২১০০ শত পিস ইয়াবা সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জাতীয়তাবাদী নাগরিক প্রজম্ম দলের রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার কমিটি উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত তাড়াশের দাসপাড়াতে ২৪ প্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞা অনুষ্ঠান বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।  ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ক্যাবের ৮ দফা কেশবপুরে অসুস্থ গরু জবাই করার অপরাধে এক গরুর ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড আগাম ও পরিবেশ বান্ধব সবজি চাষে কৃষকের সাফল্য নোয়াখালীতে ৩৩তম আন্তর্জাতিক ও ২৬তম জাতীয় দিবস পালিত   লোহাগড়ায় পৌর বিএনপির কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠান ও মিষ্টি বিতরণ

আজ পবিত্র আশুরা, কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল দিন

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১২.২১ পিএম
  • ১১৬ বার পঠিত

শাহাদাত হোসাইন 

আজ পবিত্র আশুরা। হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় পবিত্র আশুরা।

পবিত্র আশুরা  বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন মুসলমানরা।

কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন মুসলমানরা।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি। আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র আশুরায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।

এ দিনে রোজা রাখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউ যদি এ দিন রোজা রাখা তাহলে আল্লাহ তাআলা রোজাদারের পূর্বের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (মুসলিম)

এ দিনের রোজার হাদিসে জানা যায়, আশুরার দিনে মুসা আলাইহিস সালামকে ফেরআউন থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি ইহুদিদেরকে আশুরার দিন রোজা পালন করতে দেখতে পেলেন। এরপর তাদেরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর তারা বলল, এ সে দিন যে দিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফিরআউনের ওপর বিজয়ী করেছেন। তার সম্মানার্থে আমরা রোজা পালন করে থাকি। তখন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিনে রোজা পালন করার নির্দেশ দিলেন। (মুসলিম ২৫২৩)

এ হাদিস থেকে এটা প্রমাণিত এদিন ফেরআউনকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল। হাদিসে মুসা (আ.)-এর ঘটনা নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

এ দিনে আরও ৩টি ঘটনার কথা হাদিসের কিতাবসমূহে পাওয়া যায় তবে হাদিস বিসারদগণ সেগুলো অনির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে বলে মত দিয়েছেন। সে তিনটি ঘটনা হলো-

১. এ দিনে আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল করেন।
২. এ দিনে নুহ (আ.)-এর নৌকা জুদি পর্বতের উপর থামে।
৩. এ দিনে ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া এ দিনে কেয়ামত সংঘটিত হবে বলে যে কথা প্রচলিত আছে তার কোনো ভিত্তি নেই।

যে বর্ণনায় আশুরার দিন কেয়ামত হওয়ার কথা এসেছে তা হাদিস বিশারদদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিত্তিহীন, জাল। (কিতাবুল মাউজুআত ২/২০২)

তবে জুমার দিন কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথা নির্ভরযোগ্য সূত্রে হাদিসে এসেছে। (তিরমিজি ২/৩৬২)

এ দিনের একটি শোকাবহ ঘটনা হলো ইরাকের কারবালার প্রান্তরে হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত বরণের ঘটনা। যা মুসলিম জাতির জন্য অনেক দুঃখজনক বিষয়।

হজরত হোসাইন (রা.) সম্পর্কে নবীজি (সা.) কী বলেছেন?

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে প্রিয় কন্যা ফাতেমা (রা.)-এর সন্তান হজরত হাসান ও হোসাইন (রা.)। তাদের বাবা হলেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপন চাচাতো ভাই ও ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.)।
ইরাকের কারবালায় অবস্থিত হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) মাজার। ছবি: সংগৃহীত
ইরাকের কারবালায় অবস্থিত হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) মাজার।

চতুর্থ হিজরির ৩ শাবান মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন হজরত হোসাইন (রা.)। তিনি ছিলেন ভাই বোনদের মধ্যে দ্বিতীয়। জন্মের পর নাবিজি (সা.) তার কানে আজান দেন, সপ্তম দিনে আকিকা করেন এবং মাথার চুল পরিমাণ রুপা সদকা করেন।

হজরত আলী (রা.) ও ফাতেমার (রা.) পরিবার ছিল নবীজির (সা.) নিজের পরিবারের মতোই। তিনি সব সময় তাদেরকে নিজের পরিবার গণ্য করতেন। ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, উম্মে সালামার (রা.) ঘরে নবিজির (সা.) ওপর এ আয়াত নাজিল হয়,

إنمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

হে নবীর পরিবার, আল্লাহ তাআলা তো চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে। (সুরা আহযাব ৩৩)

আরও পড়ুন: হজরত হোসাইনের (রা.) শাহাদত বরণ: আমাদের করণীয় কী?

সে সময় নবীজি (সা.) ফাতেমা, হাসান ও হোসাইনকে (রা.)-কে ডাকেন এবং তাদের একখানা চাদরে আবৃত করেন। আলী (রা.) তার পেছনে ছিলেন। তিনি তাকেও চাদরে ঢেকে নেন, তারপর বলেন,

হে আল্লাহ, এরাই আমার পরিবার। আপনি তাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করে দিন এবং তাদের উত্তমরূপে পবিত্র করুন। (তিরমিজি ৩৭৮৭)

আল্লাহর রসুল (সা.) তার দুই নাতি হাসান ও হোসাইনকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তাদের বুকে ঝড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। নবীজি (সা.) বলতেন,

যে হাসান হোসাইনকে ভালোবাসে, সে আমাকেও ভালোবাসে, যে তাদের অপছন্দ করে, সে আমাকেও অপছন্দ করে। (ইবনে মাজাহ ১৩৪)

যারা হাসান-হোসাইনকে ভালোবাসে, নবীজি (সা.) তাদের জন্য দোয়া করেছেন। ওসামা ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, এক রাতে কোনো প্রয়োজনে আমি নবীজির (সা.) কাছে উপস্থিত হলাম। নবীজি (সা.) বের হলেন। তিনি তার পেছনে কিছু আড়াল করে রেখেছিলেন। আমার প্রয়োজন শেষ হলে আমি তাকে বললাম, আপনার পেছনে কী আড়াল করে রেখেছেন? তিনি আড়াল সরালে দেখলাম তারা হাসান ও হোসাইন। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এ দুজন আমার সন্তান, আমার নাতি। হে আল্লাহ, আমি এদের ভালোবাসি, আপনিও এদের ভালোবাসুন এবং তাকে ভালোবাসুন, যে এদের ভালোবাসে। ( তিরমিজি ৩৭৬৯)

জান্নাতি যুবকদের সর্দার হাসান-হোসাইন (রা.)

হাসাইন-হোসাইনকে জান্নাতি যুবকদের সর্দার ঘোষণা করে নবীজি (সা.) বলেছেন,

الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ
হাসান ও হোসাইন জান্নাতি যুবকদের সর্দার। (তিরমিজি ৩৭৬৮)

হজরত হোসাইন (রা.) শহীদ হবেন এটা নবীজিকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। জিবরাইল (আ.) নবীজিকে (সা.) কারবালার মাটি দেখিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন এখানে তাকে শহিদ করা হবে। (তাবরানি)

আল্লাহর রসুলের (সা.) ওফাতের প্রায় পঞ্চাশ বছর পর আশুরার দিন কারবালার প্রান্তরে হজরত হোসাইন (রা.) অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণ করেন।

আশুরার দিন তওবা ও ইস্তিগফারের দিন

১০ মহররম এ দিন রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ করে অনেকেই রোজা রাখেন। এর আগে বা পরের একদিন আরও একটি রোজা রাখেন। মোট দুটি রাখেন।
আশুরার দিন হজরত মুসা (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফেরাউন শাসক থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

রোজা রাখার মতো এ দিনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো বেশি বেশি ইস্তিগফার পাঠ করা ও তওবা করা। কেননা এ দিন আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী উম্মতের তওবা কবুল করেছেন।

মুসনাদে আহমাদ ও জামে তিরমিজিতে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, এক ব্যক্তি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসুল, রমজানের পর আপনি আমাকে কোন মাসে রোজা রাখার নির্দেশ দিবেন? উত্তরে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

إِنْ كُنْتَ صَائِمًا بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ فَصُم المُحَرّمَ، فَإِنّهُ شَهْرُ اللهِ فِيهِ يَوْمٌ تَابَ فِيهِ عَلَى قَوْمٍ، وَيَتُوبُ فِيهِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ
তুমি যদি রমজানের পর আরও কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও তাহলে মহররমের রোজা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস। সেই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও সেদিন আরও মানুষের তওবা কবুল করবেন। (তিরমিজি ৭৫১)

এই হাদিসে যেই দিনের দিকে ইশারা করা হয়েছে আলেমদের মতে সেটি আশুরার দিন। তবে বান্দার উচিত বছরের সব দিনেই

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews