1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
আপাতত বিদেশ যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় পিতাকে পি*টিয়ে গুরু*তর আহত জেন -জি নতুন সূর্য এনে দিয়েছে তাদের মাধ্যমে দেশে এগিয়ে যাবে -ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ মোহনপুরে নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটক করে আওয়ামীলীগ নেতা বানাল পুলিশ সবুজ-ফরজুল্লাহর নেতৃত্বে ঝিনাইদাহ জেলা ছাত্র কল্যাণ কালুখালীর মদাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বসন্তের আমেজে মুখরিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রাঙ্গণ ডেভিল হান্ট অভিযানে লক্ষ্মীপুরে ধরা আ.লীগের ১১ নেতাকর্মী চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পায়রা ১৩২০ মেগা ওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কতৃপক্ষের মতবিনিময় সভা এলজিইডিতে নারী কর্মচারী শাহনাজ পারভীন বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ব্লাকমেলিং করে অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ শিক্ষকের উত্তপ্তের কারণে বামনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপাতত বিদেশ যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০, ৯.৫৮ এএম
  • ২৯২ বার পঠিত

ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে এমন গুঞ্জন। তবে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ও দলের নীতিনির্ধারকরা জানান, করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে আপাতত তার বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। ৬ মাসের জামিনের মেয়াদের মধ্যে তার বিদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।
আবেদনের পর সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় তার ওপরই নির্ভর করবে তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি। জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হলে রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি হিসাব করেই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার চিন্তাভাবনা করবেন তিনি। তার আগে দেশেই চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার হাঁটুর ব্যথা কিছুটা বেড়ে গেলেও মানসিকভাবে তিনি বেশ ভালো আছেন।

টানা ২৫ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য জামিনে মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। ২৪ সেপ্টেম্বর তার জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। খালেদা জিয়া এ আদেশের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করবেন। এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে দলের একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হতে পারে। পাশাপাশি তার স্থায়ী জামিনের জন্য আইনজীবীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। মুক্তির পর এখনও খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়নি। করোনার কারণেই সেটি সম্ভব হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দলীয় চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি টিম রয়েছে। তাদের এক-দু’জন নিয়মিত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করছেন। এ ছাড়া পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান নিয়মিত তার চিকিৎসার তদারকি করছেন। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নতুন করে চিকিৎসা শুরু করবেন তিনি।

এদিকে সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন চলছে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন। কিন্তু দলের নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকেও চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়। চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে কেউ কিছু জানেন না বলে বৈঠকে জানান। কয়েকদিন আগে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে একপর্যায়ে জানতে চান, চেয়ারপারসনের লন্ডনের যাওয়ার ব্যাপারে একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা তো কিছুই জানি না। জবাবে তারেক রহমান বলেন, চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি আমিও জানি না। এ মুহূর্তে তার আসার সম্ভাবনাও কম। যা শুনছেন তা গুঞ্জনই।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি খালেদা জিয়ার এক ঘনিষ্ঠজন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসার বিষয়টি আলোচনায় এলে ঘনিষ্ঠ ওই নেতা জানতে চান, ‘ম্যাডাম আপনার যে শারীরিক অবস্থা তাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া ব্যাপারে কিছু ভাবছেন কিনা। জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এবং বিশ্বের যে পরিস্থিতি তাতে এ মুহূর্তে যাওয়া ঠিক হবে না। ওই নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত চেয়ারপারসন বিদেশ যাচ্ছেন না তা তার মনোভাব দেখে বোঝা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এগুলো পুরোপুরি মিথ্যা। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা তো নেই, এমনকি পরিবার এখনও পরবর্তী কিছু নিয়ে আলোচনা করেনি।

সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। ওই শর্তের মধ্যে রয়েছে, জামিনে থাকাকালীন তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না। গুলশানের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। তাই খালেদা জিয়া চাইলেও বিদেশ যেতে পারবেন না। এজন্য তাকে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। সরকার অনুমতি দিলেই শুধু তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। তাই তার বিদেশ যাওয়াটা অনেকটা সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।
৫প৪
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যে কারণে ম্যাডামকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সে কারণ এখনও রয়েছে। করোনার কারণে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়নি। স্বাভাবিক কারণে প্রয়োজনবোধে আবারও সরকার মানবিক কারণে সময় বৃদ্ধি করতে পারে। তবে এটির জন্য আবেদন করতে হবে। যেহেতু তার মুক্তির প্রক্রিয়াটি নির্বাহী আদেশে হয়েছে, সে কারণে আবারও আবেদন করার মধ্য দিয়ে সময় বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে।

অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, সরকার উনাকে চিকিৎসা করানোর জন্য মুক্তি দিয়েছে। উনার হাঁটুর চিকিৎসা বিদেশে হয়েছে। গত সোয়া ২ বছর ধরে উনার চেকআপ নেই। এখন ব্যথ্যা করছে। তার বাম হাত বেঁকে গেছে। করোনা পরিস্থিতি কারণে এখন উনি চিকিৎসা করতে পারছেন না। আবার হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত নয়। পরিবার থেকে প্রথমেই সরকারের কাছে আবেদন করা হয়ছিল তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য। সেক্ষেত্রে সরকার বিবেচনা করতে পারে। আশা করি করবে। কোনো আবেদন করতে হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম দিকে যে আবেদন করা হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews