ম্যাচ শুরুর ৩৬ ঘণ্টা আগেও অনিশ্চয়তা ছিল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি খেলতে পারবেন কি না লিওনেল মেসি। তবে ঘরের মাঠে ম্যাচটি শেষমেশ খেলেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। যদিও দলকে জেতাতে বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি তিনি।
শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে বুয়েন্স আয়ার্সের আলবার্তো হোসে আরমান্দো স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম পয়েন্ট হারালো আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের সঙ্গে নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা দুই জয়ের পর ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারাল আলবিসেলেস্তেরা। আর্জেন্টিনার পরাজয় এড়ানো গোলটি করেছেন ডিফেন্ডার নিকোলাস গঞ্জালেজ। এর আগে প্যারাগুয়েকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল রোমেরো।
ইকুয়েডরকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের বাছাই শুরু করে বলিভিয়ার মাঠে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে পেরুর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ড্রয়ে শুরু করা প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল ভেনেজুয়েলার মাঠে।
অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল প্যারাগুয়ে। আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করলেও তাদের আক্রমণে তেমন ধার ছিল না বললে চলে। এর ফাঁকে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে টলাতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় নিজেদের ডি-বক্সের মধ্যে প্যারাগুয়ের ফরোয়ার্ড মিগুয়েল আলমিরনকে ফাউল করে বসেন ডিফেন্ডার লুকাস মার্টিনেজ। বেজে উঠে রেফারির পেনাল্টির বাঁশি। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে দেন প্রতিপক্ষের আরেক ফরোয়ার্ড রোমেরো।
সেই গোল শোধ করতে ২০ মিনিটের বেশি সময় লেগে যায় স্বাগতিকদের। ৪১ মিনিটের সময় প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান গঞ্জালেজ। ম্যাচে সমতা ফিরে।
দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠলেও সাফল্য পাননি স্বাগতিকেরা। একের পর এক প্রচেষ্টার পরও গোলের দেখা পাননি মেসি-ডি মারিয়ারা। অন্যদিকে প্যারাগুয়েও সমর্থ্য হয়নি আর এগোতে। ফলে ১-১ গোলে অমীমাংসিতই থেকে যায় ম্যাচ।