বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এবারের ঈদেও সিনেমা হলগুলো খোলা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন হল মালিক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
গত মার্চ মাস থেকে সিনেমা হলগুলো বন্ধ থাকার কারণে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সিনেমা হলের মালিক ও কর্মচারীরা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শিগগিরই হলগুলো খুলে দেয়া দরকার।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গত ৩১ মে থেকে গণপরিবহণ চলছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে। এর মানে সিনেমা হলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতো। তারপরেও কেন সিনেমা হলগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে না তা বলা মুশকিল। আমরা সিনেমা হল খোলার জন্য আবেদন করেছি, এখন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, সরকারের কাছে আবেদন করেছি সিনেমা হল খোলার বিষয়ে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ঈদের আর দুই সপ্তাহ আছে। এরমধ্যে সিদ্ধান্ত আসলেও নতুন কোন সিনেমা মুক্তি পাবে তা নিয়েও জটিলতা তৈরি হবে। তাছাড়া সিদ্ধান্ত কবে আসবে সে বিষয়টিও জানি না। এজন্য এবারের ঈদেও আমরা সিনেমা হল খুলতে পারছি না।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের দাপ্তরিক ও শুটিং ফ্লোর খুলে দেয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ থাকার পর ৫ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং, এডিটিংয়ে ফিরেছে অনেকেই।