যোবায়ের হোসাইন: ফুটপাথ দিয়ে জনসাধারনের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকার ফুটপাথ উন্নয়নে ব্যাপক উদ্দ্যেগ গ্রহন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের প্রতিটি নর্দমার উপরে প্রায় ৫ থেকে ১০ ফিট ফুটপাথ তৈরী কর হয়।
তৈরীকৃত ফুটপাথে চলাচল সহজ করার জন্য উপরে টাইলস বিছানো হয়। বর্তমানে ফুটপাথে চলাচল আরো সহজ করার জন্য সরকার দামি সিরামিক টাইলস ব্যবহারের উদ্দ্যেগ গ্রহন করেন, আর তা বাস্তবায়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়ে থাকে সিটি কর্পোরেশন ও এলজিআরডি থেকে।
এসব বরাদ্ধের সিংহভাগ টাকা খেয়ে ফেলছে কিছু দুর্নীতিবাজ কন্সট্রাকশন কোম্পানী ও সরকারি কর্মকর্তা- কমচারি। উত্তরা ৪ নং সেক্টরের রাজউক কলেজ রোড ও ঈশাখাঁ এভিনিউ এর মোড়ের ফুটপাথ নতুন করে টাইলস করন কাজে ব্যাপক অনিয়ম দেখ যাচ্ছে। বুধবার দুপুরে ঈশাখাঁ রোডের রাজউক কলেজ মোড়ে ফুটপাথ উন্নয়ন কাজ দেখতে গেলে প্রতিবেদকের কাছে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। কাজের স্থানে দেখা যায়, বালুতে সিমেন্ট ছাড়াই প্রায় ১শ ফিট দৈর্ঘ ফুটপাথে টাইলস বসানো হয়েছে।
ফুটপাথ উন্নয়নের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে বিষযটি জানিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ফুটপাথ উন্নয়ন কাজের কোন তদারকির দায়িত্ব আমার হাতে নেই, আর এখানে কাজ হচ্ছে আমার জানা নেই। এর দায়িত্বে সিটি কর্পোরেশনের নির্ববাহি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান।
বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নির্ববাহি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কন্সট্রাকশন কোম্পানী এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে কন্সট্রাকশন কোম্পানী এসএম কন্সট্রাকশন এর সাইড ইঞ্জিয়ার তানভির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ করেন।
সুপারভাইজার নজরুল কাজের স্থানে আসলে, তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের এ কাজ এক বছরের জন্য। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। সিমেন্ট ছাড়া কিভাবে টাইলস বসানো হচ্ছে প্রশ্ন করলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নির্ববাহি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান এর সাথে দিত্বীয়বার যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার আপনাদের থেকে জানার পর কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, আপনি আগামীকাল অফিসে আসেন।