মোঃশাহজাহান খন্দকার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বোরো ধান ক্ষেতে নেক-ব্লাস্ট ছত্রাক রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের বাম্পার ফলনের আশা দূর আশায় পরিনত হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। ব্লাস্ট রোগ আক্রান্ত শত শত বিঘা জমির ধান পড়ে আছে কৃষকরা কাটছে না। সর্বশান্ত কৃষকরা জানায় ২০ শতক জমির ধান কেটে এক মন ধান ও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মারাক্তক বিপযয়ের্র আশংকা দেখা দিয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ১৩ টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ২’শ ৯৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উফশী ১৪ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর, বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ৮ হাজার ১০ হেক্টর এবং স্থানীয় ১’শ ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সাড়ে ৩ হেক্টর ব্রি-২৮ জাতের ধান ক্ষেতে নেক-ব্লাস্ট ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাস্তবে অনেক গুন বেশি। শীষের গোড়া পঁচে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া ও বাতাসের মাধ্যমে এ ছত্রাকটি দ্রুত এক ক্ষেত থেকে অন্য ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ছে।
ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে স্টেনজা, দিপা ট্রপার, সেলটিমা, ডায়মেনশন, অথবা জিটাভো পানিতে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করা সহ জমিতে পানি ধরে রাখা, ধানের শীষ বের হওয়ার আগে ও পরে ২ বার স্প্রে করা ও ধানের শীষ বের হলে বিকালে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ধান ক্ষেত নেক ব্লাস্ট রোগাক্রান্ত পড়ে রয়েছে কৃষকরা কাটছে না। দুর থেকে দেখে মনে হবে ধান পেকেছে কিন্তু বাস্থবে ধান গুলো ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়ে গেছে। তবকপুর ইউনিয়নের পুরির পটল গ্রামের শ্রী নির্মল চন্দ্র বর্মন,মোহন চন্দ্র বর্মন,মন্ডল চন্দ্র বর্মন, গোবিন্দ চন্দ্র বর্মন,শন্তস চন্দ্র বর্মন,রবিন্দ্র চন্দ্র বর্মন কৃষকগণ জানান, রোগাক্রান্ত জমিতে ধান নেই সম্পন্ন চিটা হয়ে গেছে। কেটে কি লাভ।
কৃষক গণ মনের ক্ষোভে জানান তাদের কয়েক বিঘা জমির ধান নেক-ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে চিটা হয়ে গেছে। তারা জানালেন এবার বোরো আবাদ করি সর্বহারা হইলাম। এবার পেটের ভাতের চিন্তায় দিশেহারা। উপজেলা কৃষি অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, রোগ প্রতিরোধে ছত্রাক নাশক অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে প্রতিকারের সম্ভবনা আছে।