কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অটোবাইক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ সমিতি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ওই সমিতির সদস্যগণ। রোববার সকাল ১০টায় উলিপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে উলিপুর উপজেলা শাখার অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মুকুল মন্ডল ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সেনা সদস্য জিয়াদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) চাঁদাবাজি ও অটো চুরির অভিযোগে পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এ ঘটনায় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ ৫জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী এক অটো চালক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের জুম্মাহাট গ্রামের রাশেদুল ইসলাম পেশায় একজন অটো চালক।
তিনি উলিপুর বাজারে অটো নিয়ে আসলে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সহায়তায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মুকুল মিয়া (৩৬) ও পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি সোহেল খাঁ (৩৫)সহ কয়েকজন মিলে তার ও অন্যান্য অটোচালকের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা নিয়ে আসছিলেন।
তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এক বছর পূর্বে তার কাছ থেকে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ ৫ হাজার ২শ টাকা চাঁদা আদায় করেন। গত ৩১ আগষ্ট পূণরায় আসামীরা তার কাছে ১হাজার ৫০ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তিনি বার বার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে তার অটোগাড়িটি তারা নিয়ে যান। এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ শ্রমিকলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অটো গাড়ি চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০১)। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি সোহেল খাঁ ও তার সহযোগী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন। গত ২সেপ্টমবর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেছিলেন অবৈধভাবে দরিদ্র অটোচালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া অন্যায়। তা থেকে বিরত থাকার জন্য এমপি মহোদয়, আমি নিজে ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করা হয়েছে। এটা দলীয় কোন কার্যক্রম নয়, এটা ব্যক্তিগত বিষয়। মামলার ব্যাপারে আমাদের কোন দায়-দায়িত্ব নেই। আওয়ামীলীগ কখনই চাঁদাবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না।