1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
উলিপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা স্বামীর কর্মস্থল ইসলামী ব্যাংকের সামনে অনশনরত স্ত্রীর বিষপান, পুলিশ সদস্যদের ভূমিকায় উদ্বিগ্ন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব না, কফিন ধরে শিক্ষার্থীদের শপথ সংস্কার আন্দোলন সাধারণ ছাত্রদের হাতে নেই, এর নেতৃত্বে এখন ছাত্রদল-ছাত্রশিবি : কাদের চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মহানগর বিএনপির গায়েবানা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ পবিত্র আশুরা, কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল দিন চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৩ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় স্কুল-কলেজ-পলিটেকনিক বন্ধ ঘোষণা

উলিপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০, ১.১৯ পিএম
  • ২৩২ বার পঠিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময় অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলা অডিটরিয়াম হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন অপর এক যুদ্ধাহত সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার বিধবা পত্নীসহ তাদের সন্তানগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাহত সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা বলেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে ডাঃ মোকছেদ আলী (গেজেট নং-৩৮২০), নুর মোহাম্মদ প্রধান (গেজেট নং-৩৮৭৭), আয়নাল হক (গেজেট নং-৩৯১১)সহ বিগত সময়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে প্রায় ৭৫জনের নাম জামুকায় প্রেরন করেছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই অমুক্তিযোদ্ধা। তিনি আরও বলেন, সাবেক কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশাল অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এছাড়া অন্যান্য সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নাম করে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে অন্যায় ভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন কি তিনি অনেক মুক্তিযোদ্ধার বিধবা পত্নীকে নানা ভাবে হয়রানী করেছেন। এর প্রতিবাদ করলেই ফয়জার রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সেক্টরে আমাকেসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সরকার কর্তৃক অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মানে উপজেলা কমিটিতে এমডি ফয়জার রহমান স্থান না পাওয়ায় গত ১৭ জুন আমার ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশকে ভুল বুঝিয়ে মানববন্ধন ও মিথ্যাচার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধাহত সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টুকে ভুয়া ও বিতর্কিত বলে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা ২৭ বছর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা কালীন সময়ে অভিযোগকারী এমডি ফয়জার রহমান ডেপুটি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ে তিনি কোন অভিযোগ তোলেননি এবং এমডি ফয়জার রহমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার থাকাকালীন গোলাম হোসেন মন্টু ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন এসময়ও তিনি কোন অভিযোগ তোলেননি। বর্তমান সময়ে এমডি ফয়জার রহমান ব্যক্তিস্বার্থ ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করেন। যাহা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম হোসেন মন্টু, জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের উপজেলা শাখার আহবায়ক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সরকার, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাহবুব প্রমুখ। সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার বিধবা পত্নীসহ তাদের সন্তানগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাবেক কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান বলেন, অর্থের বিনিময়ে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়নি। যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তবে তা সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তাফার আমলে হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে প্রকল্পের সভাপতি তার অধিনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু ওই কমিটির সদস্য হতে পারেন না। তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এ কারনেই আমরা প্রতিবাদ করেছি। তিনি আরও বলেন, ওই দুইজনকে বাদ দিয়ে যে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে আবাসন প্রকল্পের কমিটিতে দায়িত্ব দিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। প্রশাসক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড উলিপুর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews