সিবিআইতে আপত্তি রিয়ার
সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তে আপত্তি তুলেন রিয়া। রিয়ার কথায়, এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্ত বেআইনি এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসছে ততক্ষণ সিবিআই তদন্ত শুরু করতে পারে না। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। তার প্রশ্ন, সুশান্তের মৃত্যুর হয়েছে মুম্বাইতে, তাই মুম্বাই পুলিশের বদলে বিহার পুলিশ এবং সিবিআই কীভাবে এই মামলার তদন্ত করতে পারে?
রিয়ার আয় কম থাকার পরও মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় ২টি ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল জীবন
প্রশ্ন উঠেছে- মাসে ১৪ লক্ষ টাকা আয় হওয়া সত্ত্বেও মুম্বাইয়ে কীভাবে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর নামে? কারণ, অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট নিতে হলে, মাসিক যে আয় থাকা দরকার, রিয়ার নিজস্ব অ্যাকাউন্ট বলছে তার আয় মোটেই এতো নয়! উপরন্তু এতো সম্পত্তি, টাকা পয়সা, অভিজাত জীবনযাপনই বা কী করে করতেন রিয়া?
মামলা হাতে নিয়েই রিয়া ও সুশান্তের সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালিয়েছে ইডি। তাতেই দেখা গিয়েছে, গত বছর রিয়ার অ্যাকাউন্টে ছিল ১০ লাখ টাকা। সেখান থেকে ১২ লাখ ও শেষ পর্যন্ত ১৪ লাখ হয়েছিল তার নগদ টাকার পরিমাণ। এই আয়ে কী করে মুম্বাইয়ের দু’টি অভিজাত এলাকায় কোটি টাকার দু’টি ফ্ল্যাট কিনলেন রিয়া ও তার পরিবার? জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের খারে ৮৫ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে রিয়ার নামে।
শেষের দিকে রিয়াকে মারাত্মক ভয় পেতেন সুশান্ত!
মৃত্যুর আগে কয়েক মাস নাকি রিয়াকে মারাত্মক ভয় পেতেন সুশান্ত! লাগামছাড়া খরচ কোথায় হচ্ছে, তা নিয়ে সিদ্ধার্থ পৈঠানিকে খোঁজ নিতে বললে রিয়া অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। পুরোপুরি তার নিয়ন্ত্রণেই চলে এসেছিলেন সুশান্ত। এ বিষয়ে সুশান্ত ঘনিষ্ঠদের সবাই একমত। উপরন্তু গত বছর নভেম্বরে বিদেশে থাকা রানি দিদির বাড়ি যেতে চাইলে সুশান্তকে জোর করে আটকে রাখেন রিয়া। জানুয়ারি মাসে সুশান্ত বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন রিয়া তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠাতে চান।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তার ই-মেইল আইডি ব্যবহার করেছেন রিয়া!
শোনা যাচ্ছে সুশান্তের মৃত্যুর পর তার ই-মেইল আইডি নাকি ব্যবহার করেছেন রিয়া। সুশান্ত শেষ পর্যন্ত কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রথমে তা খুঁটিয়ে দেখেন রিয়া। সুশান্ত কোথায় কী মেইল করেছেন, এরপরই ই-মেলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলেন। যাতে সুশান্তের পরিবারের কেউ না তা খুলতে পারেন। এছাড়াও সুশান্তের ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিও রিয়া ডিলিট করে দেন। মুছে ফেলেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল।
রিয়ার কল রেকর্ড
গত এক বছরে ভাই সৌহিকের সঙ্গে রিয়ার কথা হয়েছে ১০৬৯ বার। এক বছরে সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার কথা হয়েছে মাত্র ১৪৫ বার। সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে রিয়ার কথা হয় ২৮৭ বার। যা সুশান্তের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ৭৯১ বার কথা বলেছেন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর সঙ্গে। বন্ধু সিদ্ধার্থ পৈঠানির সঙ্গে কথা হয়েছে ১০০ বার। পরিচায়ক দীপেশ সাওয়ান্তের সঙ্গে কথা হয়েছে ৪১ বার এবং সুশান্তের রানি দিদির সঙ্গে মাত্র ৪ বার কথা হয়েছে। অন্যদিকে, মহেশ ভাটের সঙ্গে কথা হয় ১১ বার। অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে কথা হয় ২৩ বার। সুশান্তের বর্তমান ম্যানেজার উদয় সিং গৌরীর সঙ্গে কথা হয় রিয়ার ২২বার।