সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.কাউসার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারা মতে তার জবানবন্দী দেন মোহাম্মদ আলী। এর আগে তার জবানবন্দী ১৬১ ধারা মতে আলাদা কাগজে লিপিবদ্ধ করা হয়। মামলার সাক্ষী মোহাম্মদ আলী জানান, লাশ ঘটনাস্থলে রেখে রক্তমাখা জামা-কাপড় পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যায় আসামি শারমিন আক্তার। সাক্ষী মোহাম্মদ আলী (৬৫) হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার থানার ছনপাড়া গ্রামের মৃত আফির উদ্দিন এর ছেলে।
নিহত সাজিদুর রহমান টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মীরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া গ্রামে এই হত্যাকান্ড ঘটে। পরবর্তীতে ক্রাইম সিনের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে হান্নানের স্ত্রী শারমিন আক্তার ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও বারদী শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন সপ্তাহে ১২৫০ টাকা করে পরিশোধের শর্তে। ৬ সেপ্টেম্বর দেড়টার সময় ওই কিস্তির টাকা আদায় করতে এনজিওর কর্মী সাজিদুর রহমান মো. হান্নানের বাড়িতে যান। পরে কে কারা তাকে খবর দেন হান্নানের বাড়িতে সাজিদুর রহমানের লাশ পড়ে আছে।
এ ঘটনায় ওই এনজিরও বারদী শাখার ব্যবস্থাপক মো. শামীম বাদী হয়ে হান্নান তার স্ত্রী ও দেবরের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ দিকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শারমিন আক্তারকে র্যাব-১১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার টিটিরচর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে।