মাসুদুল ইসলাম সবুজ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৬নং পাটুয়াভাঙ্গা শিমুলিয়া কলাদিয়া সিস্টোর গরুর হাটটি এই জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ গরুর হাট বলে পরিচিত। এই গরুর হাটটি ২০০৫-২০০৬ সনের ত্রিশ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এই হাটের ইজারাদার ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ৪ একর জায়গা নিয়ে বাজারটি এখন প্রতিষ্ঠিত হলেও বাজারটি আরও বর্ধিতকরণ করা দরকার বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।
প্রতি বছর এই গরুর হাটটি সরকারি ভাবে ভ্যাট সহ ২ কোটি ২৮ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০শত টাকা ডাক হলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো পয়োনিষ্কাশন, ভাথরুম, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও গরু ক্রয় ও বিক্রেতাদের নেই কোন সু-ব্যবস্থা। ফলে বাজারের বিভিন্ন পাইকার, ক্রেতা বিক্রেতারা অনেক সময় সমস্যার মধ্যে পড়েন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।
গত সোমবার শিমুলিয়া কলাদিয়া সিস্টোর গরুর হাটে গেলে ইজারাদারগন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বিভিন্ন গনমাধ্যমের প্রতিবেদকদের নিকট জানান, উপজেলা প্রশাসন তাদের নিকট থেকে সরকারি ইজাদারের টাকা ঠিকিই নিয়ে যান। কিন্তু আগত ক্রেতা বিক্রেতাদের কোন সুবিধা এই পর্যন্ত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই বাজারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সুন্দর আলী, ইজারাদার সাধারণ-সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাইদুজ্জামান সহ কয়েকজনের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, বর্তমান উপজেলা প্রশাসনকে এই বাজারের সমস্যার কথা বলা হলেও কোন কাজে আসছে না।
তারা বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী বাজারটি ধরে রাখতে গেলে আগত পাইকার ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সমস্যা সমাধান অবশ্যই দরকার বলে উল্লেখ করেন। তারা আরও বলেন, এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে তাদের। আমরা হয়তো না থাকবো কিন্তু বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হলে সারাদেশে এর পরিধি লাভ করলে তাদের সুনাম হবে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া এই জেলার বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজার, নিকলীর সাজনপুর গরুর হাট উল্লেখযোগ্য ভাবে তাদের পরের স্থানে আছে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।