ঢাকা ২৬ আগস্ট ২০২০ মেজর (অবঃ) সিনহার হত্যা মামলার আসামী ওসি প্রদীপের সাজানো
অস্ত্র ও ইয়াবার দুই মামলায় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খানকে জামিন দিয়েছেন আদালত বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় কক্সবাজার জেলা দায়রাজজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এই আদেশ দেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মিজান উর রশিদ মিজান জানিয়েছেন, ফরিদ মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আরেকটি মাদক মামলার আগামিকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানী রয়েছে।
শুনানীতে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আইন উপদেষ্টাগণ অংশ নেবেন।
এই মামলায় জামিন হলে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খানের পক্ষে নিযুক্ত প্রধান সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মান্নান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাইনুল হাসান পলাশ বলেন, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ওপর বর্বর পুলিশী নির্যাতনের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করতে না পারার দায় আমাদের সকলের। তবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এবং সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ তারা সরেজমিনে কক্সবাজারে এসে ঘটনাটি দেশব্যাপী তুলে ধরেছেন। ফরিদুল মোস্তফার মুক্তির দাবীতে জনমত তৈরি করেছেন। এভাবে সোচ্চার থাকলে সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলতে সাহস পাবে না দূর্বৃত্তরা। আদালত ও আইনজীবি সূত্রে জানাগেছে, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ফৌজদারী মিস মামলার মূলে জি/আর ১০২৫/২০১৯, (অবৈধ দুইটি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি) কক্সবাজার সদর থানা মামলা নং-৭৫,২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ও জি/আর ১০২৬/২০১৯, (৪ হাজার পিচ ইয়াবা) কক্সবাজার সদর থানা মামলা নং-৭৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ দায়ের করা পুলিশের সাজানো মামলায় ফরিদুল মোস্তফাকে জামিন প্রদান করেন । এর আগে গত ১ মার্চ একই আদালত জি/আর ১০২৭/২০১৯, কক্সবাজার সদর থানা মামলা নং-৭৭,২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বিদেশি মদ উদ্ধার) মামলায় জামিন প্রদান করেন। তিনি আরো জানান, টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের দালাল মৌলভী মুফিজ ও জহিরের চাঁদাবাজি ‘গায়েবি মামলার’ অভিযোগে টেকনাফ থানা মামলা নং-১১৫/২০১৯,৩০ জুন ২০১৯ দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রাজজ মোহাম্মদ ইসমাইল আদালত ১৩ আগস্ট জামিন প্রদান করেন। এছাড়া টেকনাফ থানার মামলা নং-৪২/২০১৯,তারিখ-১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ জি/আর ৭৭৮/২০১৯, মামলায় ১৯ আগস্ট ২০২০ টেকনাফের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত জামিন প্রদান করেন। এ নিয়ে ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬টি মামলার মধ্যে ৫টি মামলায় জামিন পেলো। বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেন, ফরিদ মোস্তফা ন্যায় বিচার পেতে সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পেলে তাকে আইনী ও উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে বিএমএসএফ পাশে থাকবে।