হাসপাতালটির উপপরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা রাতেই শিশুর মরদেহ প্রস্তুত ও হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। শিশুটি জন্মের আগে না পরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিল তা জানা সম্ভব হয়নি।
গত ৮ জুলাই বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভুসকুর হাটকড়ই গ্রামের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী আরবী আকতার শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এটি তাদের প্রথম সন্তান। ১১ জুলাই শিশুটির শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে শজিমেক হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ওইদিন শিশুর মাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
গত ১২ জুলাই চিকিৎসকরা শিশুর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠান। পরদিন দেয়া রিপোর্টে শিশু করোনা পজিটিভ উল্লেখ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায় শিশুটি।
চিকিৎসকরা শিশুটির মা ও বাবাকে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা দিতে বলেছেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার সংগঠক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতেই মৃতদেহ প্রস্তুত ও হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।