রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে মৃত্যুসংখ্যা হুহু করে বেড়ে গিয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের সকল সীমান্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকিতে রয়েছে।কিন্তু আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরে ৬দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
Facebook, Twitter share
পবিত্র ঈদ উদযাপনের জন্য জন্য জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় অবস্থিত সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আগামী সোমবার (১০ মে) থেকে শনিবার (১৫ মে) পর্যন্ত বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
গত শুক্রবার সোনাহাট স্থলবন্দর কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়।সোনাহাট স্থলবন্দর শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তাকে এ চিঠি মারফত অবহিত করা হয়।
The Daily surjodoy
অপরদিকে, সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক), বিজিবির সোনাহাট ক্যাম্পের কমান্ডার,সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক সমিতি এবং স্থলবন্দরের বিপরীত দিকে অবস্থিত ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার গোলকগঞ্জ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোনাহাট স্থলবন্দর কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,আগামী ১৬ মে থেকে বন্দর দিয়ে আবারো নতুন করে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে।
Surjodoy.com
উল্লেখ্য,ভারতে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে ভারত-বাংলাদেশ বেশকিছু সীমান্ত সাময়িক বন্ধ রাখলেও করোনার মহামারিতেও কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু থাকে। প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ ট্রাক পণ্য নিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে
।এসব ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় বন্দরটি করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে।যদিও স্থানীয় প্রশাসন একটি মেডিকেল টিম দিয়ে কাজ করছে তবুও কুড়িগ্রামে করোনা সংক্রমণের আশংকায় রয়েছে এ বন্দরটি। আপাতত ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সাময়িক বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান