তফিকুল ইসলাম,কালাই,জয়পুরহাট,প্রতিনিধিঃ–
কোর্টকাছারি,বিচারক,আইনজীবী,হাজিরা,মামলা মকর্দমা,বাদি এবং বিবাদী এই শব্দগুলো বর্তমান সমাজে এখন নিত্যদিনের সঙ্গী আর সেই ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় মামলা বাজ নামে পরিচত কথিত এক কলেজ ছাত্রী সুমি আক্তর।
মামলাবাজ নামে ব্যাপক সুনাম অর্জন করলেও এসব নিয়ে খুব বেশি বিচলিত না সুমি আক্তার বরং তিনি নিজের কাজে ধ্যানে মগ্ন হয়ে থাকতে পছন্দ করে থাকেন।
বিচার কার্যের আনুষ্ঠানিকতার কারণেই তাকে হাজির হতে হয় বিজ্ঞ আদালতে। কোর্টে হাজিরা দেয়া যেন সুমি আক্তারের জীবনের এক নয়া অভিজ্ঞতা। কিন্তু দম্পত কলহলের কারণে গত ১৯ সেপ্টম্বর স্বামী সাংবাদিক আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্রনালে একটি পিটিশন ৩৪/১৮ ধারায় মিথ্যা মামলা করেন তিনি৷
পরে বিবাদী হয়ে পূর্ন গ্রাফি জিঃ-নং ৩৪৪২/১৯/মামলা গত ২০১৯ সালে থার্টি ফাস্ট নাইট রাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন দিনধরে বগুড়া জেলা কারাগারে ছিলেন বন্দি ছিলেন সুমি আক্তার। এক পর্যায়ে বাদি সুমি আক্তার এবং বিবাদী সাংবাদিক আঃ রাজ্জাক পুনরায় সংসার জীবন শুরু করার অঙ্গীকারে উভয় পক্ষ বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৩৬ হলফনামায় মামলাটি মিমাংসায় নিষ্পত্তি করা হলে সুমি আক্তার কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে সংসার জীবনে ফিরে না এসে অন্যায় ভাবে অর্থ হাসিলের আশায় মামলাটি সুকৌশলে চলমান রাখলে পরিশেষে বিজ্ঞ আদালতে স্বামী সাংবাদিক আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মিথ্যা মামলাটি প্রমানিত না হলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিবাদী আসামি সাংবাদিক আঃ রাজ্জাক কে উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
সুমি আক্তার বাদি হয়ে তিনি অসৎ উদ্দেশ্য ৩/১/২০২১- ইং তারিখে (NGER) ১০ মামলার বাদি হয়ে সুমি আক্তার স্বামী সাংবাদিক আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক আবারো মিথ্যা মামলা করলে। স্ত্রী সুমি আক্তারের করা মিথ্যা মামলাই হইরানির শিকার হয়ে অবশেষে সাংবাদিকদের আশ্রয় চাইলে সাংবাদিক মহল বিষয়টি আমলে নিয়ে সুনামধন্য দেশের বিভিন্ন জাতীয়,আঞ্চলিক,সাপ্তাহিক পত্রিকাসহ অসংখ্য অনলাইন নিউজ সাইটে সকল ঘটনা তুলেধরে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং সাংবাদিক আঃ রাজ্জাকও লিগ্যাল নোটিশসহ প্রতিবাদ জানান৷ বর্তমানে সুমি আক্তারের দায়ের করা মিথ্যা মামলা অসামাজিক কর্মকান্ড দেশের বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়াই সরগোল হয়েছে যা সামাজিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে
খোঁজা নিয়ে জানা যায়, সুমি আক্তার বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অনার্স ভূগোল ২ য় বর্ষের কথিত একজন ছাত্রী।
এবিষয়ে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ এর প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতি পৃর্বে একবার নোটিসসহ সুমি আক্তার কে বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন তার বিরুদ্ধে সুনামধন্য কলেজের বিষয়ে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই যাথাযথা ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
মামলার বিবরণ সম্পর্কে একান্ত আলাপ কালে সাংবাদিক আঃ রাজ্জাক বলেন, সে স্ত্রী ছিলো বলার মতো ভাষা আমার জানা নেই ওনার যা অভিযোগ সম্পর্নরুপে মিথ্য আমাকে হয়রানি করাই তার একমাত্র লক্ষ৷ সুমি আক্তার সকল অভিযেগের পাল্টা মামলার ইতিমধ্যে আমি লিগ্যল নোটিস করেছি ৩৪/১৮ জাবেদা নকল হাতে আসলেই মামলা ফাইল করা হবে৷
উল্লেখিত বিষয়ে কারাভোগী বাদী বিবাদী সাংবাদিক আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী সুমি আক্তার মুঠোফোন একাধিক বার কল দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেলেই বলেন আমি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলিনা। এবং সাংবাদিকদের আমার কাছে টাইম নেই বলে কল কেটে দেন সুমি আক্তার। তাই তার কোন মামলা বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..