1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
কালোটাকা জাতীয় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির অন্তরায়
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কসবায় বিএসএফের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত! চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক ১ঃ মাদক পরিবহনে নিয়োজিত মোটর সাইকল জব্দ ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং “হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স” চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কালোটাকা জাতীয় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির অন্তরায়

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১, ৭.০৪ পিএম
  • ১৯৮ বার পঠিত

কালোটাকা জাতীয় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির অন্তরায়

বাজেট ও কালোটাকা প্রত্যয় দুটি  আমাদের কাছে বহুল পরিচিত। বাংলাদেশের বাজেট প্রণয়ন ও উত্থাপনের আগে ও পরে এ নিয়ে চলে নানারকম আলোচনা ও সমালোচনা যদিও বর্তমান অর্থমন্ত্রী কালোটাকাকে কালো বলতে নারাজ।  অর্থনীতিবিদরা কালো অর্থনীতি অর্থে বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করে থাকেন। যেমন-ছায়া অর্থনীতি, সমান্তরাল অর্থনীতি, গোধূলি অর্থনীতি,দ্বিতীয় স্তরের অর্থনীতি,অনিয়মিত অর্থনীতি, ভূ-গর্ভস্থ অর্থনীতি, অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি, ডুবন্ত অর্থনীতি, লুকায়িত অর্থনীতি ইত্যাদি। কালো অর্থনীতি বলতে যত পরিভাষাই ব্যবহৃত হোক না কেন এর চরিত্র একই ধরনের। এই অর্থনীতি সরকারের নিয়ম-কানুন এড়িয়ে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্থনীতিতে অশুভ প্রভাব ফেলে। কালোটাকা বৈধ ও অবৈধ উভয় উৎস থেকে আহরিত হয়ে অবৈধভাবে ব্যবহৃত হয়। কালো অর্থের অবস্থান আমাদের সমাজে এতই শক্তিশালী যে, সরকারের অর্থমন্ত্রীরাও বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশে কর আদায় মাত্র ১০ শতাংশ। ভারতে তা ১৮ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ১৬, চীনে ২৯, মালদ্বীপে ২১, পাকিস্তান ১৭, নেপালে ২৪ এবং সিঙ্গাপুরে ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও কর জিডিপি অনুপাতে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তৃতীয় পঞ্চ -বার্ষিক পরিকল্পনায় জাতীয় আয়ের ১১.৭ শতাংশ বিনিয়োগ করে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩.৬ শতাংশ অথচ একই সময়ে পাকিস্তানে ১৬.১ শতাংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬.৭ শতাংশ।

দেশে ঘোষণা দিয়ে প্রথম কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, সামরিক আইনের আওতায়। এ পর্যন্ত ১৭ বার কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা সাদা হয়েছে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে এক এগারোর সরকারের আমলে। ওই সময় ৩২ হাজার ৫৫৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই সুযোগ নিয়েছিল। তখন ৯ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা বৈধ করা হয়।

১৯৮৯-৯০ অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা বৈধকরণের জন্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৯১-৯২ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কালোটাকাকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার প্রথম বিশ বছরে বাংলাদেশের ২২৩ জন ঋণগ্রহীতার হাতে জমা ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা ছিল অনাদয়যোগ্য।

সেই অর্থবছরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী  এম.সাইফুর রহমান বাজেটে বলেছিলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে কালোটাকা বৈধ করার যে ধরনের বৈষম্যমূলক কর দায়মুক্তির সুবিধা দেওয়া হয়েছে, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি যে, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ও গোষ্ঠী স্বার্থপ্রসূত বৈষম্যমূলক করনীতি আমাদের এ গণতান্ত্রিক সরকার সম্পূর্ণ পরিহার করবে।’ ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেটে শাহ এ এম এস কিবরিয়াও স্বীকার করেন যে সুযোগ দিলেও এতে তেমন কোন কাজ হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ এ কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার সাথে সাথে আয়কর অধ্যাদেশে একটি নতুন ধারা সংযোজন করে কালোটাকা সাদা করার আইনি সুযোগ দেন। এই ধারাটি হচ্ছে ১৯(ই)। এর ফলে প্রযোজ্য আয়করের সাথে ১০ শতাংশ জরিমানা দিলে যে কেউ অর্থ সাদা করতে পারবেন। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছিলেন,’কালোটাকা সাদা করার যে অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়, তা চিরতরে বন্ধ করা উচিৎ।’

এবারের বাজেট বক্তব্যে কিংবা অর্থবিলের কোথাও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া বা রহিত করার কোনো কথা বলা হয়নি। এর মানে হলো, আয়কর অধ্যাদেশের ১৯  -এ দুটি ধারায় ৩০ জুন পর্যন্ত কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটির সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। ৩০ জুনের পর আর কেউ এই সুযোগ নিতে পারবেন না।

তাহলে কীভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগটি এখনো থেকে গেল? এর উত্তরও আয়কর অধ্যাদেশে আছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের অর্থ আইনে দেখা গেছে, ১৯ বি নামে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশে যা-ই থাকুক না কেন, এলাকা ও আয়তনভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে ফ্ল্যাট কিনলে ওই বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরে নেবে এনবিআর। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে অপ্রদর্শিত টাকায় ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটিকে বিশেষ কর সুবিধা হিসেবে বলা হয়। তবে এনবিআর শর্ত দিয়েছে, অপরাধ কার্যক্রমের মাধ্যমে এবং অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত অর্থ সাদা করা যাবে না।

আয়কর অধ্যাদেশে ১৯ ডি ধারায় শিল্প খাতে কালোটাকা সাদার সুযোগ দেওয়া রয়েছে। এ ধারার আওতায় হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ২০২৪ সাল পর্যন্ত রয়েছে। কেউ এ সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগ করলে অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করবে না এনবিআর। এ ছাড়া অপ্রদর্শিত বৈধ আয় নির্ধারিত করের ওপর ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়েও ঘোষণায় আনার সুযোগ রয়েছে। অর্থনীতিবিদ ড.আবুল বারাকাত কালোটাকার পাঁচটি প্রধান উৎস বর্ণনা করেছেন। তা হলো-(ক)সরকারি তহবিল, স্টোর ও পরিত্যক্ত সম্পত্তির আত্মসাৎ (খ)চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, মজুতদারি ও কালোবাজারি ; (গ)বাজারজাতকরণকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত বিশাল পরিমাণ ঋণের টাকা আত্মসাৎ ও পরিশোধ না করা;(ঘ)রাষ্ট্রের সহায়তায় প্রকল্পের কমিশন বাবদ আয় ও ক্রয় বিক্রয় থেকে অর্থ আত্মীকরন; (ঙ)পারমিট লাইসেন্স হস্তান্তর, নিজের পক্ষে আইন প্রয়োগ ও বিভিন্ন পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে আয়।

এদেশে কোটিপতিরা সৃষ্টি হয়েছে অবৈধ পথে, কালোটাকার মাধ্যমে। কালো অর্থের বৈধ ও অবৈধ দুটি উৎসই রয়েছে। অর্থনীতির বৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের যখন কর ফাঁকি দেয়া হয়, তখন বৈধ কর্মকান্ড উদ্ভূত কালোটাকার সৃষ্টি হয়।অবৈধ কর্মকান্ড থেকে সৃষ্ট কালোটাকা চক্রবৃদ্ধি হারে কালো আয়ের সৃষ্টি করে। কালোটাকা নিয়ন্ত্রণের আইন থাকলেও তা কার্যকরভাবে ব্যবহারের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। আইনকে ফাঁকি দিয়ে আমাদের সমাজে মুদ্রার বেআইনী লেনদেন, ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যাংক ঋণের লুটপাট, চোরাচালান, মাদকদ্রব্যের ব্যবসা, অবৈধ কমিশন আদায়, করফাঁকি দেয়া, নিম্নমানের নির্মাণ কাজ, টেন্ডার জালিয়াতি, তহবিল গায়েব, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ আয়ের উৎস কার্যকর রয়েছে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তির জন্যেও জবাবদিহি করার তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেই। রাজনৈতিক বা ক্ষমতাবান দুর্বৃত্তদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিও গড়ে ওঠেছে যা উত্তরোত্তর সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সংশ্লিষ্ট দারিদ্র্য বৈষম্য বৃদ্ধি করছে যার সবগুলি সংবিধানের ১১, ২৬-২৯, ৩১-৩২, ৩৫-৪১, ৪৩-৪৬ অনুচ্ছেদসমুহের পরিপন্থী।

আমদানি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা সত্বেও তা বেড়ে গিয়েছে। শুধু বৈধ পথে নয়,অবৈধ পথে আসা পণ্যেও বাজার ছেয়ে গেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে তা অস্বীকৃত থেকে গেছে। এই লুকায়িত অর্থের প্রভাবে উৎপাদনশীলতার গতি ব্যাহত হচ্ছে।

কালোটাকা প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্থ করে। প্রশাসনিক দুর্নীতির মাধ্যমেও কালোটাকার সৃষ্টি হয়। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সরকারি নিয়ন্ত্রণে। এসব কাজের সঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকা জড়িত। বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কর্মকান্ডের ঠিকাদারি লাভ করার জন্যে ঘুষ কিংবা বখশীশ হিসেবে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে। এর ফলে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হাতে এই টাকা সঞ্চিত হয়। বিগত কয়েক দশকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ফলে এই খাতে সৃষ্ট কালোটাকার পরিমাণও বেড়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রশাসনকে দক্ষ করার জন্যে আমলাতান্ত্রকে শক্তিশালী করা হয়েছে। তারা এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালোটাকার মালিক হয়েছে। বাংলাদেশের আমলারাও এর ব্যতিক্রম নয়।বিভিন্ন সময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চোরাচালানিকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রশাসনিক আনুকুল্যে তারা ছাড়া পেয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত বিপুল অঙ্কের টাকার ঘুষ লেনদেনের সমপর্ক। একটি গবেষণা নিবন্ধে বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৮৫ সালে শতকরা ২৯ ভাগ ও ১৯৮৭ সালে শতকরা ৭৩ ভাগ সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত ছিল(সূত্রঃ কালো অর্থনীতি ও কালো অর্থ উদ্ভবের ক্ষত-ড.আবুল বারাকাত)

এর ফলে প্রশাসনের নৈতিক মান যেমন নিচে নেমে গেছে তেমনি সৃষ্টি হয়েছে অদক্ষতা। ব্যাহত হয়েছে   শিল্পায়ন ও উন্নয়ন কর্মসূচির গতি।

এদেশে কালোটাকা সৃষ্টিতে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের রয়েছে ব্যাপক প্রভাব। বৈদেশিক সাহায্যের এক চতুর্থাংশ দেশের অভ্যন্তরে ব্যয় হলেও বাকিটা ব্যয় হয়েছে বিদেশে। প্রশাসক ও নীতি নির্ধারকরা নিজেদের স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এই অর্থের বিশাল একটি অংশ ব্যয় করেছে। ফলে দরিদ্রদের নামে আসা  এসব অর্থ দারিদ্র্যতা নির্মূলে  ভূমিকা  রাখতে না পারলেও  কোটিপতি সৃষ্টিতেই করেছে সাহায্য।

১০ ফেব্রুয়ারী, ২০০১ তৎকালীন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড.আবুল বারাকাত বলেছিলেন, ‘গত তিন দশকে বাংলাদেশের সরকারিভাবে ঋণ- অনুদান হিসেবে আনুমানিক ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্য এসেছে। এর ৭৫ ভাগ নানাভাবে লুট হয়েছে, সেই ৭৫ ভাগের ২৫ ভাগ বিদেশি কনসালট্যান্সির নামে, ৩০ ভাগ আমলা, রাজনীতিবিদ কমিশন এজেন্ট, স্থানীয় পরিদর্শক ও ঠিকাদার এবং ২০ ভাগ গ্রাম ও শহরের উচ্চবিত্তদের সাহায্যে ব্যয়িত হয়েছে। (সূত্রঃস্বাধীনতা দিবসে পর নির্ভরতার কথা-ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান)

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মতে, তৃতীয় বিশ্বের বহু রাজনৈতিক, ব্যাংকের মালিক ও সামরিক জান্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোক ড্রাগ ব্যবসার সাথে জড়িত। কালোকাটার স্বর্গরাজ্য বলা হয় ইতালিকে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও কালোটাকার পরিমাণ মোট জাতীয় আয়ের ১৮-২১ শতাংশ। শুধু ২০১৪ সালে ভারত থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি কালোটাকা পাচার হয়েছে। ব্রিটেনে কালোটাকার পরিমাণ জাতীয় আয়ের ৮-৯ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে কালোটাকার প্রভাবে প্রশাসন দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব কালোটাকা ঘুষ, দুর্নীতি ও চোরাচালানের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং তা জাতীয় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধকতা।  এমনকি তা নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও করে কলুষিত।বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাচনেই কালোটাকা ব্যবহৃত হয়েছে। আইনের চোখে তা ধরা না পরলেও সামাজিকভাবে কালোটাকার অশুভ প্রভাব স্পষ্ট হয়ে আছে। সুতরাং কালোটাকার প্রভাব থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য আইনগত ও সামাজিক প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির স্বার্থেই তা একান্ত প্রয়োজন।

লেখকঃ এম. রনি

শিক্ষার্থী, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews