আব্দুল্লাহ আল মামুন:
গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন চরমভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এলাকাবাসী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
### দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
কাশিমপুরের বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজি, খাদ্যপণ্য, এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছেন।
### এলাকাবাসীর অভিযোগ
এলাকাবাসী জানান, “ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে মালামালের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এই কারণে বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে এবং আমরা ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারছি না।”
### বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের প্রতি এলাকাবাসীর আহ্বান জানানো হয়েছে যে, তাঁরা বাজার মনিটরিং করে মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবেন। ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা জানিয়েছেন, “আমরা জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে বাজারে কার্যকর মনিটরিং চালিয়ে যাব। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যদি কৃত্রিম সংকটের প্রমাণ মেলে, তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।”
### প্রশাসনের পদক্ষেপ
এ বিষয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং যদি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসন বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।
কাশিমপুরের বিভিন্ন বাজারে দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা এবং ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিষয়টি স্থানীয় জনগণের জন্য একটি বড় সমস্যা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জনগণের জন্য আশার প্রদীপ হয়ে উঠতে পারে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের সহায়তা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।