ওয়াকিল আহমেদ (ক্ষেতলাল) উপজেলা প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter share
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কিডনি পাচার চক্রের সক্রিয় দুইজন সদস্যকে প্রমানসহ গ্রামবাসীরা আটকে রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
Surjodoy.com
শনিবার (২৯ মে) সন্ধায় উপজেলার বারইল নলপুকুর গ্রাম থেকে সক্রিয় এই দুইজন কিডনী পাচার চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়।
The Daily surjodoy
আটকৃতরা হলেন,জয়পুরহাটে কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের তমেজ আলীর ছেলে দুলু মিয়া (৬৪) ওরফে ডংকার ও তার সহযোগী একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজমুল (৪৫) ওরফে কেরামত আলী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষেতলাল উপজেলার তাউসারা গ্রামে বসবাস করে আসছিল।
The Daily surjodoy
জানাগেছে, আটককৃত দুইজন কিডনি পাচারকারী জেলার আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল গ্রামসহ পার্শ্ববতী বেশকয়েক এলাকায় বেশ কিছুদিন থেকে ঘোরাফেরা করছিল। তারা গ্রামের দরিদ্র সহজ সরল মানুষদের প্রতিটি কিডনি ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
The Daily surjodoy
এমনকি দুলু মিয়া চার বছর আগে ঢাকার একটি চক্রের নিকট তার বাম পাশের কিডনি বিক্রি করার কথা বলেছে। দুলু মিয়া বলে দেহের একটি কিডনি বিক্রি করলে কোন সমস্যা হয় না এমন কথা নজমুলকে বলে এবং টাকার বিনিময়ে কিডনি সংগ্রহের প্রস্তাব দেয়।
The Daily surjodoy
সক্রিয় কিডনি চক্রের দুইজন সদস্য নজমুল ও দুলু মিয়া বারইল গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও রুবেল কে এমন প্রস্তাব দিয়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে। তারা ওই গ্রামের ডলার মাষ্টারকে বিষয়টি জানালে গ্রামবাসীরা ওই চক্রের দুইজন সদস্যকে আটকে রেখে উপজেলার মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমকে অবগত করলে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে তাদেরকে গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
The Daily surjodoy
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নিরেন্দ্র নাথ মন্ডল দৈনিক সূর্যোদয়কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,গ্রামবাসীরা কিডনি পাচার চক্রের দুইজন সক্রিয় সদস্যকে প্রমানসহ আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ পৌঁছে তাদের আটক করে থানায় নিলে। পরে গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন এর ১০ (১) তথ্যসহ ৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০ প্রতারনার অপরাধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply