বরগুনা প্রতিনিধিঃ
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল মোটেল, রেস্তোরাসহ পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। ফিরে এসেছে কর্ম চন্চল্যতা। নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো নতুন ভাবে ঢেলে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু দেখা মিলছেনা পর্যটকদের। প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর সৈকতের আসপাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকাপাট খুলে বসে থাকলেও নেই কোন বেচাকেনা।স্থানীয় দু’য়েকজন ভ্রমনে আসলেও দূরের কোন পর্যটকদের দেখা যায়নি সৈকতে । এ দিকে পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য হোটেল মোটেল গুলোতে ৩০-৪০ ভাগ রুম বুকিং এর উপর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারপরও পর্যটকদের সাড়া মিলছেনা বলে জানা গেছে । সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর আবাসিক হোটেল গুলোতে কোনটায় এক রুম আবার কোন হোটেলে সর্বোচ্চ তিন রুম বুকিং হয়েছে । শতকরা দুই ভাগ রুম বুকিং হয়েছে বলে জানান হোটেল কর্তৃপক্ষ । স্থানীয় হোটেল মোটেল মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে জনজীবন রক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন গত ১৮ মার্চ কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। প্রায় চার মাস পর ১ জুলাই বুধবার থেকে পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে । তবে প্রথম দিনে পর্যটক না আসলেও হতাশ নয় হোটেল মোটেল সংগঠন নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার থেকে বাড়তে পারে পর্যটক এমনটাই ধারনা করছেন তারা। সৈকতের ঝিনুক দোকানদার ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, খুবই অল্প সংখ্যক পর্যটক এসেছে। বেশিরভাগই স্থানীয় পার্শবর্তী জেলা থেকে এসেছে। দুরের কোথাও কোন পর্যটক আসেনি। আর পর্যটক না হলে আমাদের বেচাকেনাও থাকেনা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র প াশ টাকা বিক্রি করেছে। কুয়াকাটা হোটেল সমুদ্রবাড়ির পরিচালক মো.জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, করোন পরিস্থিতির কারনে তার হোটেল বন্ধ ছিলো। ১ জুলাই হোটেল খোলা রাখার নির্দেশনা পেয়ে ঝার পোছ দিয়ে তিনি নতুন ভাবে সাজিয়েছেন তার হোটেল। আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক মো.জিয়াউর রহমান জানান, তার হোটেলে অর্ধশতাধিক রুম রয়েছে। মাত্র ৩টি রুম বুকিং হয়েছে। করোনা ভীতির কারনে মানুষ ঘর থেকে বাহির হয়নি। তিনি আরো বলেন, কোরবানীর ঈদের পর পর্যটক সমাগম বাড়বে। অনেকেই কোরবানীর ঈদের পর রুমের জন্য অগ্রিম বুকিং নিচ্ছে। কোরবানীর আগে পর্যটক না আসার সম্ভাবনাই বেশি বলে তার ধারনা। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, একদিকে করোনা আতংক, অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম থাকায় পর্যটকদের আগমন তেমন একটা হবে না। আস্তে আস্তে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। কম সংখ্যক পর্যটক আসলেও কর্মচারীদের বেতন ও খরচ দিতে সক্ষম হবেন হোটেল মালিকরা। এতে কর্মহীনতার অভাব মোচন হবে। কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোন’র সিনিয়ার এএসপি মো.জহিরুল ইসলাম জানান, ১ জুলাই বুধবার থেকে কুয়াকাটা পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমনে কোন বাঁধা নেই। পর্যটকদের সেবায় ট্যুারিষ্ট পুলিশ প্রস্তুর রয়েছে। এখন পর্যন্ত সে রকম পর্যটকদের দেখা মিলছেনা বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।