কুলিয়ারচর পুলিশ সুপারের নির্দেশ অবহেলা সহ থানা অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে দাবীকৃত ঘুষ না পাওয়ায় মামলার নথিভুক্ত ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জে সোমবার দুপুরে বত্রিশস্থ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের নিকট বলেন, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা ও কুলিয়ারচর থানার এএসআই সাদ্দামের বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবীর অভিযোগ ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে ২৫ লক্ষ্য টাকার জমি ও মালামাল এবং জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কুলিযারচর উপজেলার ডেন্টাল চিকিৎসক শিরিন আক্তার। তিনি আরও বলেন, গত ২০২০ সালের ৮ আগষ্ট আমার বাড়ীতে আক্তারুজ্জামান হারিছ গংরা হামলা চালায়। উক্ত হামলার বিষয়ে একই দিনে কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি যার নং-২৪৬। অভিযোগকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে রামদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের লোকজন আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। ফলে চলতি বছরের ১৯ মার্চ কুলিয়ারচর থানায় সাধারণ ডায়েরী করি (ডাইরী নং-৯৩১। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করে। উদ্ধার করতে গেলে আমাদেরকে মারধর করে এবং আমার ছেলের একটি দাঁত ভেঙে দেন আক্তারুজ্জামান হারিছ গংরা। এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশকে অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল না পেয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এএসপি সার্কেলকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশ পাওয়ার পর ৮ মাস পুর্বের অভিযোগটি আমলে নেন কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। কিন্ত এখানেও শুভংকরের ফাকি। প্রথমে এসআইকে দিয়ে ১০ হাজার টাকা ও পরবতী সময়ে ৫০ হাজার টাকা অফিসার ইনচার্জ নিজেই দাবী করেন। অন্যথায় তাঁর থানায় আমার কোনো মামলা সংক্রান্ত কাজ হবে না। এ ঘটনাটি আমি ডিআইজি হাবীব স্যারকে ফোনে অবগত করলে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে উক্ত বিষয়ে শাসিয়ে যান। উল্লেখ্য যে আওয়ামী সরকারের আমলে আমি আওয়ামী পরিবারের সদস্য হয়েও স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সহযোগিতা ও সুবিচার চাই।