রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্টের (সিভিআরপি) অধীনে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কাবিখা কর্মসূচীর আওতায়
বরাদ্দকৃত খাদ্যে শস্যে দিয়ে নির্ধারিত স্হানে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাটের পর তৈরী হচ্ছে গুচ্ছ গ্রামের ঘর।এখানে বরাদ্দ পাবার আশায় প্রহর গুনছে ৩০ ভূমিহীন পরিবার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিন তিলাই মৌজায়
খোচাবাড়ী গ্রামের “বটতলা” নামক স্হানে সিভিআরপি এর অধীনে কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় ১৪০ দশমিক ১৯৯ মেঃ টঃ খাদ্যশষ্যের বিনিময়ে ২ দশমিক ৮০ একর সরকারী খাস নিচু জমিতে মাটি ভরাট করা হয়েছে। ভরাট করা জায়গায় ৩০টি ঘরের একটি গুচ্ছগ্রাম তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে । যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে ভূমিহীন অসহায় পরিবারদের মাঝে বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়ার জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট
একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো কোন পরিবারকে বরাদ্দ দেয়া যায়নি।
এলাকার বিশিষ্টজনদের মতে করোনা, বন্যা ও নদী ভাঙ্গন সমস্যাগুলে একসাথে সামনে আসায় ভূমিহীন
দরিদ্র পরিবারগুলো অতিমাত্রায় অসহায় হয়ে পড়েছে। উপযুক্ত সময়ে ঘরগুলো বরাদ্দ দিলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন তারা।
তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহিন শিকদার বলেন,মহামারী করোনা ও অতিবৃষ্টির কারনে কয়েক দফা বন্যায় কাজ ব্যহত হচ্ছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুচ্ছ গ্রামের ঘরগুলো তৈরী করে ভূমিহীন পরিবারদের মাঝে বরাদ্দ দিতে পারবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর আলম বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি আর কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাধা হয়ে না দাড়ালে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা এ বিষয়ে বলেন,গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলোর নির্মানকাজ
প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ৪সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।