রেখা মনি ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনার পর এই নিউ নরমাল লাইফেও থেমে নেই বাল্যবিবাহ। এখনও করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি উত্তরের চরাঞ্চলের মানুষ। শুধু করোনার সময়েই ৭৪ শতাংশ বাল্যবিবাহ বেড়েছে কুড়িগ্রামের চরগুলোতে। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণে এই কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রেখে নিতে হবে নতুন পদক্ষেপও।
কুড়িগ্রাম শহর থেকে বহুদূরের চরযাত্রাপুরের কিশোর কিশোরীদের অভিজ্ঞতা নিদারুণ। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে।
জড়তা আর বন্দিদশা কাটিয়ে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্যে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক সহপাঠীই যে শিকার বাল্যবিবাহের। বিয়ের বয়স হবার আগেই মেনে নিতে হচ্ছে করুণ পরিণতি।
দুর্গম চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তি ও সচেতনতায় নানা উদ্যোগ আর কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের নিয়েও নিয়মিত চলে উঠোন বৈঠক। এতে হয়তো সচেতন হচ্ছেন কেউ কেউ, কিন্তু অনেকেই মনে করছেন বাল্যবিয়ে কোনো সমস্যা তো নয়ই, বরং ক্ষেত্রবিশেষে এটি হয়ে দাঁড়ায় সমস্যার সমাধান।
উন্নয়নকর্মীরা বলছেন, চরাঞ্চলে শুধু কর্মহীন কিংবা ফসলের ক্ষতি নয় করোনার থাবা এখন বাল্যবিবাহ। মূল শহর থেকে দূরের চরের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দিকে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সুশীলসমাজের।