পরিবারের অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে হচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাড়ে চার বছরের শিশু বিথী খাতুনের সুচিকিৎসা। আহত বিথী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা(শাহবাজার) গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানের মেয়ে।
গত ১৭ জুলাই শুক্রবার মায়ের সাথে বাড়ীর নিকটবর্তী শাহবাজারে এসে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সার চাকায় পৃষ্ট হয় বিথী।সেখান থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মুমূর্ষু অবস্থা দেখে অন্যত্র নিতে বলেন।পরে পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার একটি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়।সেখানে ডাঃ আমিনুল ইসলাম তার চিকিৎসা শুরু করেন এবং আঘাত প্রাপ্ত বাঁ পায়ের এক্স- রে করে দেখেন পায়ের সব ক’টি হাড় ভেঙ্গে গেছে।বিথীর গরীব বাবা অন্যের কাছে ধার কর্জ করে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করে তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে টাকার অভাবে তাকে আর ডাক্তারের কাছে নিতে পারছেন না।
কান্নাজড়িত কন্ঠে বিথীর বাবা বলেন, মোর কোন জমিজমা নাই, মুই অন্যের জমিত কাম করোং আর মোর বউ মানষের বাড়ীৎ কাজ করে। বর্তমানে কোন কামাই কাজ নাই, খামো কি তারে চিন্তায় বাঁচি না।তার উপড় ছাওয়াটা বিচানাত পরি চিকিৎসার অভাবে ছটফট করে।পা খানের ব্যাথায় ছওয়াটা মোর নড়াচড়াও করতে পারে না।মানুষের কাছে হাত পেতে টাকা তুলে কয়দিন ঔষধ খাওয়াইছি।সে টাকাও শেষ।ডাক্তার কইছে বিথীর চিকিৎসার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা নাইগবে এতো টাকা মুই কোটে পাইম।বিনা চিকিৎসা ছওয়াটা মোর পঙ্গু হবাইছে বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।
এই তো ক’দিন আগেও বিথীর পদচারনায় মুখরিত ছিল সাড়া বাড়ী।সেই ছোট্ট বিথী চিকিৎসার অভাবে ভাঙ্গা পায়ের বড্ড যন্ত্রনায় শয্যাশায়ী।চঞ্চলা বিথী এখন বিছানায় শুয়ে জালানা দিয়ে পৃথিবী দেখে।আর ক্ষণে ক্ষণে রোগের যন্ত্রনায় চিৎকার করে। বিথী তার মা বাবার কাছে জানতে চায় সে কবে নাগাত হাটতে পারবে খেলতে পারবে সাড়া উঠান জুড়ে?
বিথীর এ প্রশ্নের উত্তর দিতে তার বাবা মায়ের প্রয়োজন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা।শিশু বিথীর চিকিৎসার খরচ যোগাতে সহৃদয়বান সকলের কাছে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন তার অসহায় বাবা ও মা।