1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত,পানিবন্দী সাড়ে ৩লক্ষ মানুষ।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত,পানিবন্দী সাড়ে ৩লক্ষ মানুষ।

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০, ৬.৩০ পিএম
  • ২৮৪ বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়েছে সাড়ে ৩লক্ষ মানুষ। মঙ্গলবার ভোর থেকে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের দুটি জায়গার উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন ঠেকাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হলেও দ্রুত বন্যার পানি নেমে না গেলে মহাসড়কের অবস্থা ঝুকিপূর্ণ হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বন্যার পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে ধরলা নদীতে ব্রিজ পয়েন্টে ১০৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৯৬ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৬০ ইউনিয়নের ৫২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় লোকজন পরিবার নিয়ে বাঁধের রাস্তা ও মহাসড়কে আশ্রয় নিয়েছে। প্রথমদফায় যারা আক্রান্ত হয়েছিল, তারা ১৮দিন ধরে রাস্তার ধারে পলিথিন দিয়ে শেড করে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। রাতভর মুসলধারে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বানভাসীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রাত কাটিয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদরের পাটেশ্বরী মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় ৫শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে শহিদুল, মেরিনা ও আনোয়ারা অভিযোগ করেন, বন্যার কারণে কাজকাম বন্ধ। সরকার থেকে এখনো তারা কিছুই পাননি। শুধুমাত্র সেনাবাহিনী থেকে ত্রাণ পাওয়া ছাড়া আরকোন ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
সদরের ধরলা ব্রিজ সংলগ্ন মহাসড়কে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। এরমধ্যে স্কোয়ার সেমি বাঁধে প্রায় ৫৫টি পরিবারের জন্য একটি নলকূপ ও একটি লেট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। নারীদের জন্য রাখা হয়নি আলাদা ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সারাক্ষণ যানচলাচল অব্যাহত থাকায় সন্তানদের নিয়ে ভীষণ আতংকে রয়েছেন বাবা-মায়েরা।
জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। ৪০০ মে. টন চাল, ১১ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews