রাজধানীর কেরানীগঞ্জে হযরতপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কদমতলীর মোরে, ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসী হামলা ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক মিন্টু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন-অর রশীদ জানান, গত ২১ অক্টোবর, শনিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার হযরতপুর কানাচর কদমতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাজী আব্দুল কাদির ও তার ছেলে মাহফুজুর রহমান, মামুনুর রহমান, রিপন, তার ভাতিজি রিনা বেগম, ভাবি মনোয়ারা বেগম ও ভাতিজা আলমগীর হোসেন, সুমন বলে জানা যায়।
ওমর ফারুক মিন্টু, সালাউদ্দিন সুজন, সাদ্দাম হোসেন জুয়েল, আসাদুল, মুক্তার, বাদল, ইমন, আলেক, সালমান ও আলামিনসহ ২০জনের নাম উল্লেখ করে ২৪ অক্টোবর, বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন আবদুল কাদির। তিনি জানান, আমার ভাতিজা আলমগীর হোসেন ড্রেজার দিয়ে বালুভরাটের ব্যবসা করে। সে ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কানারচরের আলোচিত সন্ত্রাসী আসামি ওমর ফারুক মিন্টুর সঙ্গে শত্রুতা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। ভাতিজা আলমগীরকে ওমর ফারুক মিন্টু, সালাউদ্দিন সুজন, সাদ্দাম হোসেন জুয়েল মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় ২১ অক্টোবর, শনিবার রাত ২টার সময় কেরানীগঞ্জের ইটাভারা ধলেশ্বরী ব্রিজের পশ্চিম পাশের নদীতে ভাতিজার ড্রেজার মেশিনে ওমর ফারুক মিন্টু নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাতে আঁধারে হামলা চালায়। এবং পরবর্তীতে ২৩ অক্টোবর হযরতপুর কানারচর কদমতলী মোড়ে একটি মুদি দোকানের বসে থাকতে দেখে পাকা রাস্তায় উপরে এনে এলোপাথারি মারধর শুরু করে। তখন ওমর ফারুক মিন্টু তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার (আব্দুল কাদির) মাথায় আঘাত করে। আমার ছেলেদের ও বোন বাঁচাতে আসলে তাদেরও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময়ে আশেপাশের লোকজন তখন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়া পালিয়ে যায়। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে। আব্দুল কাদির আরও জানান, ঘটনাস্থলে এসেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে একই গ্রামের আলমগীর ও মিন্টুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।
এবিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ওসি মামুন-অর রশীদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিষয়টি তদন্ত করছে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম।