নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে:- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় আধ্যাত্মিক ক্ষমতার জোড়ে তিন-ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে স্থানীয় মাটি খেকো নামে পরিচিত সৈয়দ রানা হুদা নামের এক মাটি ব্যবসায়ী এতে করে দিন দিন কমে যাচ্ছে আবাদি জমির আয়তন ব্যাহত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
আক্কেলপুর পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের সোনামুণি গ্রামে আকন্দ ব্রীকস ফিল্ডের পার্শে প্রায় কয়েক বিঘা তিন ফসলি আবাদি জমিতে স্থানীয় প্রশাসনের নাগের ডগায় বসে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে খাচ্ছিলো পৌর শহরের সিদ্ধির মোড়ের বাসিন্দা সৈয়দ রানা হুদা- যাকে নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল কে এই সৈয়দ রানা হুদা-? কোথায় তার কুটির জোড়। যাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলেও তার খুঁটিরজোরে দমন করতে পারেনি কেউ।
যার নামে বিভিন্ন পত্রিকায় বারবার সংবাদ প্রকাশ করলেও থেমে ছিলনা এই সৈয়দ রানা হুদা। সে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার জোরে প্রকাশ্যে তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে মাটি বিক্রি করছিল উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন ইটভাটা গুলোতে।
সেসব মাটি ভর্তি দ্রুত গতির অবৈধ মেসি ট্রাক্টর গুলো অবাধ চলাচলের কারণে একদিকে নষ্ট হচ্ছিল সরকারের নবনির্মিত গ্রামীণ সড়ক গুলো।
অপরদিকে রাস্তার ধুলোবালিতে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে পড়ে সৈয়দ রানা হুুুদার মতো এই উপজেলার আরো বেশ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ীরা।
কে এই রানা হুদা যার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার উপর দৃষ্টি পড়ে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়ের তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়,আক্কেলপুর উপজেলার পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের সোনামুখি আকন্দ ব্রীকস ফিল্ডের পার্শে কয়েক বিঘা তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে দেদারচ্ছে কাঁটছে তিন ফসলি জমির মাটি। যে মাটি কাটার বিষয়টি জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে টনকনড়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ মাটি খেকো নামে পরিচিত মাটি ব্যবসায়ী সৈয়দ রানা হুদার। সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিককে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি ধুমকি দিয়ে কোন লাভ না হলে।
স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেশ কয়েকদিন ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব বন্ধ থাকলেও গত ১৫ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকের নজর এড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গোপনে আবারো শুরু করে একই স্থানে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব যা ১৬ এপ্রিল রোজ শুক্রবার দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধির গোপন অনুসন্ধানে ধরা পড়লে স্থানীয় প্রশাসনকে মাটি কাটার বিষয়টি জানালে প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুনরায় তিন ফসলি জমির মাটি কাটার কাজ বন্ধ করলেও সৈয়দ রানা হুদাকে কোন প্রকার জরিমানা না করলে বর্তমানে মাটি খেকো সৈয়দ রানা হুদা প্রশাসনের নজরের বাহিরে আছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রশাসনকে মাটি কাটার বিষয়টি জানানোর আগে সোনামুণি ইউনিয়নের ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা তওসীলদার মেহদি হাসানের মুঠোফোন ০১৭১৬৫৩৪৪১৯ এ নম্বরে সাংবাদিক বারবার কল দিয়ে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকের কলটি রিসিভ করেননি।
পরে বাধ্য হয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসানকে জানালে তিনি পুনরায় সোনামুখির ঘটনাস্থলে পৌঁছে সৈয়দ রানা হুদার তদারকিতে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।
এ বিষয়টি নিয়ে গতরাত শনিবার রাত থেকে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন কু-প্রস্তাবসহ বিভিন্ন হুমকি ধুমকি দেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত আরো আসছে—-
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..