সোমেন সরকার
ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে মুছা আকবর ও সাহাব উদ্দিন নামে দুইজনকে হত্যার অভিযােগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে মামলা দুটি করেছেন নিহত মুছা আকবরের স্ত্রী শাহেনা আকতার ও সাহাব উদ্দীনের বড় ভাই হাফেজ আহমদ।
বাদী পক্ষের আইনজীবীরা জানান, একটি মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার আসামি ২৭ জন। অন্য মামলায় প্রদীপকে তৃতীয় আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি ২৬ জন।
নিহত মুছা আকরের স্ত্রী শাহেনা আকতার জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হােয়াইক্যং ইউপির খারাইঙ্গ্যা ঘােনা এলাকায় নিহতের বড় ভাই আলী আকবরের বাড়ি পুড়িয় দেয় টেকনাফ থানার একদল পুলিশ। ওই ঘটনায় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পরিবার । এ ঘটনায় ২৮ মার্চ রাতে মুছাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ক্রসফায়ার না দেয়া কথা বলে পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তিন লাখ টাকা দেয় তার পরিবার। ওই টাকা নিয়ে একই দিন ভােরে মুছা আকবরকে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।বাদী পক্ষের আইনজীবী রিদুয়ান আলী বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।নিহত সাহাব উদ্দীনের ভাই হাফেজ আহমদ জানান, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল টেকনাফ দুপুরে একদল পুলিশ সাহাব উদ্দীনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরিবার ৫০ হাজার টাকা দিতে সমর্থ্য হয়। বাকি টাকা না দেয়ায় ২০ এপ্রিল রাতে কাঞ্জরপাড়া ধানক্ষেতে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে হত্যা করা হয় সাহাব উদ্দীনকে।বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান, মামলাটি আমলে নিয়েছেন ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।