ওয়াকিল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে দোকান থেকে টাকা চুরির সন্দেহের অভিযোগে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা (৯) কে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করলেন প্রতিবেশি বেলী বেগম ও রহিমা বেগম নামের দুই নারী।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার আনিকা আক্তার ধনতলা বাজার এলাকার আনিসুর রহমানের মেয়ে এবং সে স্থানীয় সমান্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই অভিযুক্ত বেলী বেগমকে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার ধনতলা বাজার এলাকার আনিসুর রহমানের মেয়ে নির্যাতনের শিকার আনিকা আক্তার সহ-পাঠিদের সঙ্গে তার বাড়ীর পাশে খেলাধুলা করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশি আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী বেলি বেগম এবং একই গ্রামের শরাফত আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম কৌশলে আনিকাকে ডেকে নিয়ে দোকান থেকে দুইশত টাকা চুরির অভিযোগ দিয়ে প্রথমে চর থাপ্পর কিল ঘুসি মারতে থাকে। সে স্বীকার না করলে তাকে সজিনা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের এক পর্যায় আনিকার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং থানায় খবর দিলে পুলিশ আনিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নির্যাতিত আনিকা জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় বলেন, আমি দোকান থেকে টাকা চুরি করিনি। আমাকে সাথীদের কাছ ডেকে নিয়ে টাকার চুরির কথা বলে মারতে থাকে এবং তা স্বীকার না করলে আমাকে গাছে বেঁধে মারপিট করতে থাকে। মামলা বাদী ও নির্যাতিত আনিকার নানা আলম ফকির বলেন, আমার নিরপরাধ নাতীকে ডেকে নিয়ে তারা গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করেছে আমি এর বিচার চাই।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, উপজেলার চৌমুহনী ধনতলা বাজারে চা বিক্রি করছিলেন অভিযুক্ত বেলী বেগম। এমন সময় দোকান থেকে দুইশ’ টাকা চুরির অভিযোগে আনিকা নামের এক তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত বেলী বেগমকে আটক এবং ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।