1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
খুলনার পাইকগাছায় অযত্ন অবহেলায় বিজ্ঞানী পিসি রায়ের জন্মভিটা ধ্বংস হতে চলেছে স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় অযত্ন অবহেলায় বিজ্ঞানী পিসি রায়ের জন্মভিটা ধ্বংস হতে চলেছে স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০, ২.০৩ এএম
  • ২৪৬ বার পঠিত

শাহরিয়ার কবির খুলনাঃ

সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী রসায়নবিদ স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি ধ্বংস হতে চলেছে। ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী রাড়ু–লীতে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ-বিদেশে তার প্রতিষ্ঠত অসংখ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আজো মানব সেবা দিচ্ছে। অথচ ফাদার নাইট্রাইট খ্যাত বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞনী স্যার পি সি রায়ের জন্ম ভিটা বাড়ির ভবনগুলো আজো অবহেলিত। দিন দিন সেগুলো শ্রীহীন হচ্ছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চলে পি সি রায়ের জন্মভূমি স্মৃতি চিহ্ন বসতভিটা দখলের। সর্বশেষ ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্মৃতিচিহ্ন বসতভিটা দখল নেয় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে ফুঁসে ওঠে এলাকার সচেতন মানুষসহ প্রসাশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা। কঠোর আন্দোলনের মুখে সে সময় রাতের অন্ধকারে ওই স্থানের মূল্যবান সম্পদ নিয়ে পালিয়ে যায় কথিত দখলদাররা। গত কয়েক বছর যাবৎ সরকারি উদ্যোগে পালিত হয়ে আসছে তার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী। বর্তমানে পিসি রায়ের জন্ম ভিটাবাড়ি সরকারের প্রতœত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষণ করছে।

রসায়ন শাস্ত্রে গবেষণারত প্রফুল্ল চন্দ্র মারকুইরাস নাইট্রাইট-এর মতো রসায়ন শাস্ত্রে মৌলিক পদার্থ উদ্ভাবন চমকে দেন বিশ্বকে। এরপর থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি ১৮৮৬ সালে পিএইচডি, ১৮৮৭ সালে ডিএসসি, ১৯১১ সালে সিআইই, ১৯১২ সালে আবার ডিএসসি, এবং ১৯১৮ সালে নাইট উপাধি পান। পিসি রায় ছিলেন একাধারে বিজ্ঞানী, দার্শনীক ও শিল্পী। সমাজ সংস্কারে মানবতাবোধে উজ্জীবিত ছিলেন তিনি। তদানিন্তন সময়ে পল্লীর মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় ব্যাংক পদ্ধতি চালু করেন। ১৯০৯ সালে নিজ জন্মভূমিতে কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। চারটি গ্রামের নাম মিলে ১৯০৩ সালে বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায় দক্ষিণ বাংলায় প্রথম আরকেবিকে হরিশচন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন। পিতার নামে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। একই স্থানে স্যার পিসি রায়ের পিতা উপমহাদেশে নারী শিক্ষা উন্নয়নকল্পে ভূবনমোহিনীর নামে ১৮৫০ সালে রাড়ু–লী গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আজো প্রতিষ্ঠানগুলো স্বমহিমায় এগিয়ে চলছে। দেশ-বিদেশে তার স্থাপিত প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞান সাধনায় ফলক স্মরণ করে সর্বস্তরের মানুষ। ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন জীবনাবসান ঘটে চিরকুমার বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর পদচারণা ও নিজ হাতের ছোঁয়ায় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান আজো অবহেলীত রয়েছে। খুলনা জেলা থেকে সরাসরি খুব ভালো কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি পিসি রায়ের জন্ম ভিটা পর্যন্ত।

পাইকগাছা উপজেলা থেকে এখনো বিচ্ছিন্ন ফাদার অব নাইট্রাইট খ্যাত বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের জন্মস্থান রাড়ু–লী গ্রামটি আজো অবহেলিত। পিসি রায়ের স্মৃতি বিজড়িত ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে চলেছে। সংরক্ষণে এখনই পদক্ষেপ না নিলে এক সময় তা কালেরগর্ভে হারিয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews