1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. towhid472@gmail.com : TOWHID AHAMMED REZA : TOWHID AHAMMED REZA
গবেষণাগারে মানব ভ্রূণ জন্ম!
সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগেরহাটে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাষ্করা কুমিল্লায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যার ঘটনায় আটক-৫ কালীগঞ্জে ইউএনও’র ওপর হামলা : ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামীলীগের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রাজশাহীতে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৩ উদযাপন স্ত্রীকে হত্যা করে ড্রামে লাশ, ৯ বছর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার স্বামী মরিয়ম’কে খুঁজছে পরিবার ও পুলিশ, খুঁজ পেলে যোগাযোগ করুণ চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে হত্যাকারী দুই কসাই গ্রেফতার চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেফতার  কেরানীগঞ্জে বটতলী তরুণ সংঘ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার পুলিশ 

গবেষণাগারে মানব ভ্রূণ জন্ম!

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০, ১২.২৩ এএম
  • ১৪৮ বার পঠিত

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক :

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গবেষণাগারে মানব ভ্রণ জন্ম দিয়েছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল ‘মানুষের ব্লুপ্রিন্ট’ শনাক্ত করার জন্য যা প্রাথমিক বিকাশের ‘ব্ল্যাক বক্স’ সময় হিসেবে পরিচিত, তা অধ্যায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা অন্য একটি ভ্রূণ থেকে স্টেম সেল বের করে এরপর গবেষণাগারে সেটির বেড়ে উঠা পর্যবেক্ষণ করেন। বিশ্বের প্রথম এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুর জন্মগত ত্রুটি এবং রোগের কারণ জানা সম্ভব হতে পারে। যেমন অ্যালকোহল, ওষুধ, রাসায়নিক এবং সংক্রমণের প্রভাব বোঝা যেতে পারে। ৎ

বিশ্বে এখন পর্যন্ত এ ধরনের গবেষণা কেবলমাত্র পশুর ভ্রূণের ওপর করা হয়েছে। নৈতিকতার প্রশ্নে গবেষণারে মানব ভ্রুণ জন্ম দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদিত নয়। তবে বিজ্ঞানীরা যুক্তরাজ্যের একটি আইনের ফাঁক ব্যবহার করে এ গবেষণা করেন।

গবেষণাগারে মস্তিষ্কের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় কোষগুলো ছাড়াই ভ্রূণের জন্ম দেয়া হয়, তাই তাত্ত্বিকভাবে এটি মানুষের মতো বিকশিত হতে পারে না। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর আলফোনসো মার্টিনেজ-আরিয়াস বলেন, ‘আমাদের মডেল একজন মানুষের ব্লুপ্রিন্টের অংশ প্রকাশ করে। ভ্রূণের উন্নয়নমূলক প্রক্রিয়াগুলো প্রত্যক্ষ করা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ একটি বিষয়, যা এখন পর্যন্ত অজানা ছিল।’

বৃহস্পতিবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফল বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত এবং জেনেটিক ডিজঅর্ডার মতো চিকিৎসার নানা বিষয়েও আলোকপাত করতে পারে।

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রতি ৪৫ জন শিশুর মধ্যে একজন জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। যার মধ্যে সর্বাধিক কমন হলো- হৃৎপিণ্ডের ত্রুটি, ডাউন সিনড্রোম এবং স্পিনা বিফিডা।

ভ্রূণের ১৮ থেকে ২১ দিনের মধ্যেকার সময়টি ব্ল্যাক বক্স সময়কাল, যা গ্যাস্ট্রুলেশন হিসেবে পরিচিত। এ সময়ে মানবদেহের ব্লুপ্রিন্ট বা নকশা তৈরি হয়। আইনী বিধিনিষেধের কারণে গবেষণাগারে ১৪ দিনের বেশি বয়সী মানব ভ্রূণ নিয়ে গবেষণার অনুমতি না থাকায়, গ্যাস্ট্রুলেশন এখন পর্যন্ত রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে।

এ গবেষণার সহ-গবেষক ডা. নওমি মরিস বলেন, ‘আমাদের সিস্টেম জন্মগত ত্রুটি অধ্যয়নের জন্য দরকারি প্রমাণিত হতে পারে।’

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জের্নিকা-গয়েটস বলেন: ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। মানব বিকাশের বেশিরভাগই রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। ভ্রূণ যখন মাত্র ৩ সপ্তাহ বয়সী হয় তখন রোগ সৃষ্টির বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকে। নতুন গবেষণা পদ্ধতি এই প্রক্রিয়াটি নিয়ে সরাসরি গবেষণার সুবিধা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews
%d bloggers like this: