শহিদুল ইসলাম সোহেল,স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গারোবাজারে মা স্টোরে চুরির ঘটনা ঘটেছে।গত ১লা আগষ্ট গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।এসময় ফ্লেক্সিলুডের তিনটি ফোনসহ মোট পাচটি মোবাইল,নগদ সত্তুর হাজার টাকা,নেভী ২৫ কার্টুন,পাইলট ১০কার্টুন,বেনসন ১কার্টুন,গোল্ডলিফ ১কার্টুন,রিয়েল ২ কার্টুন,এলডি ২কার্টুন সহ প্রায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার কসমেটিকস সামগ্রী নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে গত ২ই জুন মধুপুর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দোকান মালিক জমির হোসেন জানান,প্রতিদিন দোকানেই থাকেন।সেদিন ঈদের দিন হওয়ার পরিবারের সাথেই থাকবেন বলে ১লা আগষ্ট ঈদের দিন রাত আনুমানিক দশটার সময় প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে,বাইরে সোলার লাইট জালিয়ে রেখে বাড়ি চলে যান।পরদিন ২রা আগষ্ট সকাল আটটার দিকে এসে তালা খুলতে গিয়ে তা ভাঙা অবস্থায় দূরে পরে থাকতে দেখতে পান এবং বাইরের সোলার লাইটটিও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পরে থাকতে দেখতে পান।এসময় তার আশেপাশের দোকানদারদের সাথে নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে দেখেন,সবকিছু এলোমেলো এবং তার টাকা রাখার বাক্সটা পরে রয়েছে।সিগারেট রাখার ড্রয়ারটাও ভাঙা দেখা যায়।প্রতিবেশী দোকানদার,রহিজ উদ্দিন,মর্তুজ আলী,হারুন ডাঃ স্হানীয় ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তাৎক্ষণিক বিষয় টা স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাজার কমিটির সভাপতি,কাজী আবদুল মোতালেব,সাধারণ সম্পাদক, আব্দস সাত্তার,ইউপি সদস্য দেলোয়ার মেম্বার কে জানানো হয়।তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এবিষয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করার পরামর্শ দেন।সেদিন সন্ধ্যায়ই এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের কয়েকজন ব্যাবসায়ী বলেন,এর আগেও বাজারের বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক,হজরত আলীর ছোট ভাই আক্তারের মোবাইলের দোকানে চুরি হয়েছে কিছুদিন আগে।কিছু মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করা গেলেও মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি।অন্যদিকে বাজারের কার্যকরী পরিচালনা কমিটি না থাকাকেও দায়ী করছেন অনেকে।প্রায় একযুগ আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবদুল মোতালেব কে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়।বর্তমানে শুধু সভাপতি আর সেক্রেটারি ছাড়া আর কোন সদস্য কে তেমন দেখা যায়না।
যার জন্য বাজারের নাইট গার্ডদের ডিউটিও তদারকি করার কেউ নেই।মাঝখানে বাজার উন্নয়নের স্বার্থে উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই কমিটির সভাপতি তহবিল উজাড় করে গাঢাকা দেয়।সক্রিয় কমিটি না থাকায়, বাজারে রাতবেরাতে কিছু বখাটে ছেলেদের আড্ডাবাজি করতে দেখা যার।ক্যারামে বাজীধরা,ক্যাসিনো এবং বিভিন্ন খেলায় বাজীসহ সব ধরনের জুয়া খেলাই এদের পেশা।এদের মধ্যে অনেকেই আবার মাদকসেবি।এদের বেশির ভাগই স্কুল কলেজগামী ছাত্র।যাদের মাথায় স্কুল কলেজ আর লেখাপড়ার চিন্তা থাকার কথা,জুয়া খেলে লস করে এখন তারা ঋণের বোঝা মাথায় বয়ে বেড়াচ্ছে।বাধ্য হয়ে একটা সময় কিশোর গ্যাং সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরছে।এজন্য এলাকাবাসী এবং ব্যবসায়ীদের ধারণা বাজারের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে একটা কার্যকরী কমিটির কোন বিকল্প নেই।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..