নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌকায় করে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বুধবার ভোরে দিকে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ভারতে পালানোর চেষ্টার সময় সাহেদ জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্টের ওপর কালো রঙের বোরকা পরে ছিলেন। তার মাথার সাদা চুল ছিল কালো। এছাড়াও গ্রেফতার এড়াতে আরো কিছু অভিনব পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন সাহেদ।
এ প্রসঙ্গে সকালে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন র্যাবের অপারেশন শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, গ্রেফতার এড়াতে সাহেদ মাথার সাদা চুল কালো করেছিলেন। গোঁফও কেটে ফেলেছিলেন। এ ছাড়া তিনি মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, তার পালানোর ব্যাপারে স্থানীয় বাচ্চু দালালকে আমরা সন্দেহ করছি। সীমানা পার হয়ে ভারতে যাওয়ার পথে আমরা তাকে গ্রেফতার করি।
সাতক্ষীরায় কত দিন অবস্থান করছিলেন সাহেদ? এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা তাকে দীর্ঘ সময় অনুসরণ করছিলাম, ঘন ঘন তিনি অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। অবশেষে তাকে সাতক্ষীরার দেবহাটার কোমরপুর বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের লবঙ্গবতী নদীর পাড় থেকে গ্রেফতার করি আমরা।
উল্লেখ্য, চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ জুলাই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে অভিযান শেষে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়। এরপর ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র্যাব-১।
এ ছাড়া উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয়ও সিলগালা করা হয়। এছাড়াও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। অবশেষে সাহেদকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।