মমিন আজাদ নীলফামারী।। নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বেলা ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশের বিমান সহ বেসরকারি কোম্পানির তিনটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা ব্যাহত হয়েছে। এরফলে বাংলাদেশের বিমান এর ১টি ইউএস-বাংলার দুটি এবং নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে ওইসব ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়সূচি ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। সকাল সাড়ে ১০টায় রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার। এর সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘন কুয়াশা কেটে যেতে দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত দিনের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে।
গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এবং সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বাড়বে।’
এ দিকে বিমানবন্দরে আজ বেলা ১২টায় কথা হয় বেসরকারি বিমানের ঢাকাগামী যাত্রী পলাশ রায় এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। ঘনকুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘ফ্লাইটের ঢাকাগামী যাত্রীদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে