সোমেন সরকার,
চট্টগ্রামে গত বছরের ২৮ অক্টোবর নগরের কোতোয়ালি থানার ব্যাটারি গলির বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই নিখোঁজ হন সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার। তিন দিন পর ২০ সালের ১ নভেম্বর সীতাকুণ্ডের খালের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে তাকে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে সরওয়ার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় ছয়জনকে।
অপহরণের অভিযোগে করা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।রোববার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত থেকে এ আদেশ এসেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাম সরওয়ারের আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন খন্দকার রনি।তিনি বলেন, ‘গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল কোতোয়ালি থানা পুলিশ। কিন্তু পুলিশ দায়সারা তদন্ত করে। তারা অপহরণের কোনো আলামত পায়নি বলে অভিযোগপত্রে জানায়।
‘জমা দেয়া প্রতিবেদনে অনাস্থা এনে অধিকতর তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। পরে পিবিআইকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’
মামলার এজাহারে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করায় তাকে অপহরণ করে মারধর এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছে।গতমাসে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সরওয়ারের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এতে তাকে অপহৃতের কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এরপরপরই সরওয়ার তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেন আদালতে।