
সোমেন সরকার
খাদ্য ঘাটতি মেটাতে ও চালের বাজারে দামের লাগাম টানতে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে চাল। এসব চালের তৃতীয় চালানবাহী এমভি ক্যারেম জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। ভারত থেকে আমদানি করা এ চালানে ১৮ হাজার ৫০০ টন চাল এসেছে বলে চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটা থেকে এসব চাল খালাস শুরু হয়েছে। এসময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক, সহকারী রসায়নবিদ, সরবরাহকারীর প্রতিনিধি এবং সরবরাহকারী শিপিং এজেন্টের উপস্থিতিতে চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে মোট আটটি টেন্ডার হয়েছে। ওই টেন্ডারের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টন চাল পৌঁছে গেছে। বাকি চাল আসার পর্যায়ে রয়েছে। আমদানি করা চালের মধ্যে ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবং ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
চাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেভেন সিস শিপিং লাইনের মালিক মোহাম্মদ আলী আকবর বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান তিন প্যাকেজে চাল সরবরাহের টেন্ডার পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩য় চালানটিতে ১৮ হাজার ৫০০ টন চাল আনা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রধান আবু নাঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, ‘সরকারের চুক্তি অনুযায়ী এবার এমভি ক্যারেম জাহাজে এসেছে ১৮ হাজার ৫০০ টন চাল। চালের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কয়েক দফায় জাহাজে চাল আনতে হচ্ছে। এর আগে দুই দফা লাইটার জাহাজে করে চাল আমদানি করা হলেও তৃতীয় দফায় মাদার ভ্যাসেলে করে চাল আমদানি করা হয়েছে।’
এর আগে গেল ২৩ ডিসেম্বর সরকারি চালের প্রথম চালানটি এমভি সেঁজুতি জাহাজে ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। প্রথম চালানে চাল ছিল ৪ হাজার ১১৩ টন। একই জাহাজে করে দ্বিতীয় পর্যায়েও চাল আনা হয়েছিল। গেল ৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় জাহাজটিতেও এসেছিল ৮ হাজার টন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণা (বিআরআরআই) বলছে, পরপর চার দফা বন্যায় এবার ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ১৫ লাখ টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান-চাল দুটোরই দাম গত বছরের
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply