আশিকুর রহমান আশিক বিশেষ প্রতিনিধিঃ
‘চেষ্টা করেও নোবেলকে মাদক আর নারীর অভ্যাস ছাড়াতে পারিনি’
সারেগামাপা থেকে আলোচনায় আসা সংগীতশিল্পী নোবেলকে তার স্ত্রী তালাকনামা পাঠানোর খবর সামনে আসার পর থেকেই একে অপরের প্রতি অভিযোগের ঝাঁপি খুলে বসেছেন তারা। বুধবার ‘নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন বলে সমকালকে বলেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তার বিপরীতে নোবেল জানান, সালসাবিল আমাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চেয়েছিলো। সে তার ক্যারিয়ার নষ্ট করার ফন্দি নিয়ে তার জীবনে আসে।
সমকালের কাছে জানানো নোবেলের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সালসাবিল বলেন, ‘নোবেল কী বলে, না বলে- কী বলতে পারে- সবাই জানে। সে মাদক গ্রহণ করে, মানসিকভাবে অসুস্থ। তার চিকিৎসা হওয়া জরুরি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। নোবেল নারী আর মদ ছাড়তে পারেনি, সে সুস্থ হবে কিভাবে?’
পরে নোবেলের প্রতি সালসাবিল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি নেশা করার প্রতিবাদ করায় আমাকে মারতে মারতে এমন বাজে অবস্থা করেছে যে আমি ৯৯৯ এ ফোন করি, এরপর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমি গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। ওই ঘটনার পর থেকে আলাদা আছি। সে যোগাযোগ করে, ধীরে নরমাল হতে থাকে। কিন্তু আবার পাগলামি শুরু করে। আমি বাবার বাসা থেকেও বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু নোবেল সংশোধন হবে না।’
এরমধ্যে দেখা হয়েছে কয়েকবার উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, ‘ওকে নিয়ে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি সুস্থ করে তোলার। যে মানুষ মাদক আর নারী অভ্যাস ছাড়বে না, তাকে সুস্থ করা সম্ভব না। বাধ্য হয়েই আমি ওকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে নোবেল ফেসবুকে ডিভোর্স লিখে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছুই লেখেননি। সালসাবিল মাহমুদের পক্ষ থেকে নোবেলকে পাঠানো ডিভোর্সের চিঠিটি সংরক্ষিত রয়েছে সমকালের কাছে।
মাইনুল হাসান নোবেল। শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে গেছেন। কলকাতার জি বাংলার সারেগামাপা রিয়ালিটি শোর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কিন্তু আলোচনার শুরু থেকে যেমন দুই বাংলার পছন্দের তালিকায় ছিলেন, তেমনি একটা শ্রেণি তার নানা সময়ের ‘আচরণে’ অসন্তোষ প্রকাশ করে।
এসব বিতর্কের বাইরে গিয়ে নোবেল সালসাবিল মাহমুদকে ২০১৯ সালে বিয়ে করেন। প্রায় সাত মাস বিয়ের কথা গোপন থাকলেও পরে তা আর গোপন থাকেনি। ২০২০ সালের মে মাসে নোবেল ও সালসাবিলের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।