ওমর ফারুক, বোয়ালখালী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
বোয়ালখালী পৌরসভার প্রধান প্রধান সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে এ জনপদের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে পৌরবাসীকে আলোকিত পৌরসভা উপহার দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য সদ্য নির্বাচিত পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুরের। এজন্য জনগণের সেবক হয়েই কাজ করে যেতে চান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বোয়ালখালী পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর।
বিগত নিবার্চনে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিভিন্ন অপ শক্তির কাছে পরাজিত হন। কিন্তু মেয়র হওয়ার স্বপ্ন থেকে একটুও পিছু হাটেননি। স্বপ্নপূরণে অবিচল থেকেছেন সব সময়। স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে হওয়ার ঘোষণা দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন যেন তার হাতের মুঠোয় এসে ধরে দেয়। আর আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যান তিনি। নৌকার একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। তিনি পৌর এলাকার প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন সুপেয় পানিকে। সুপেয় পানির সমস্যায় ভুগছেন পৌরবাসী। এটির সমাধান করবেন তিনি। এলাকার উন্নয়নকাজের বিষয়ে তিনি বলেন, আগেও সাধারণ মানুষ হিসেবে সবার সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। সবকিছু বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাই চিন্তাভাবনা রয়েছে সবাইকে নিয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিটি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পাদন করার। তবে সর্বপ্রথম দীর্ঘদিনের ভাঙা সড়কগুলো সংস্কারের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের যাত্রা শুরু করা হবে।
মাদকের বিষয়ে মেয়র জহুরুল ইসলাম বলেন, পৌর পরিষদের সব সদস্য নিয়ে পৌর এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার মধ্যে সুন্দর-সাবলীল জীবনযাপন করবে এটা সবার প্রত্যাশা। নিয়মিত খেলাধুলাসহ অন্যান্য সব কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি জানান, বেকার যুবসমাজ ও হতদরিদ্রদের নিয়ে সরকারের গৃহীত প্রতিটি প্রকল্পের সুফল মানুষ পাবে। পৌরসভার হাতে যেটুকু সুযোগ থাকবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
জহুরুল ইসলাম জহুর পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আবদুল হাশেমের ছেলে।আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান জহুর পিতার মতোই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় একজন তৃণমূল নেতা। তিনি ১৯৮৬ সালে পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন, কলেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। এ ছাড়া বর্তমানে পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় জামায়াত-বিএনপি সরকার আমলে ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় নির্যাতনে শিকার হয়েছিলেন।
তিনি আদর্শ বোয়ালখালীর পৌরসভাকে সাজানোর সকলের প্রতি দোয়া চেয়েছেন।