টঙ্গী প্রতিনিধি : গাজীপুরের টঙ্গীর পশ্চিম থানায় এলাকায় টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মোঃ সাজিদ হাসান খান (২০) কে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে এই এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রদান তাসিন আহম্মেদ সাদের বিরুদ্বে। আহতের মা বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৭।
জানা যায়, গত ০৭/০৯/২০২০ইং তারিখ বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার সময় আহত মোঃ সাজিদ হাসান খানকে টাকা দিবে বলে টঙ্গী পশ্চিম থানার আউচ পাড়ার কলেজ রোড এলাকার অভিযান ১৮৯ আকন্দ ভিলার ৩য় তলার একটি নিজ রুমে ডেকে নিয়ে তাসিন আহমেদ সাদের নিতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনীদের তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর জখম ও তার বাম চোখে কিল ঘুশি মারিয়া আঘাত করিয়া নিলা জখমসহ শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাত ও জখম করিতে থাকে। একপর্যায়ে আহত সাজিদ হাসান খানের ডাক চিৎকারে শব্দ শুনে সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাহসিন আহম্মেদ সাদ পালিয়ে যান। আহত সাজিদ হাসান খানকে আকন্দ ভিলার বাসিন্দা ও দারওয়ানসহ চিকিৎসার জন্য প্রথমে টঙ্গী হোসেন মার্কেট ঢাকা ইম্পিরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থায় বেশী খারাপ হওয়া চিকিৎসার জন্য শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন।
আহতের বাবা মোঃ মেহেদী হাসান খান জানান, আমার ছেলে আসামীর কাছে ৫ হাজার টাকা পেত। আমার ছেলে সাজিদ হাসান খানকে টাকা দিবে বলে ডেকে নিয়ে দরজা লাগিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। আমরা ধারনা করছি এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা। টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশের দূর্বলতার কারনে ঐ আসামী আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসামীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে আমাদেরকে এখোনো হুমকি দিচ্ছে। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে আমরা চিনি না। ঘটনারদিন আমরা অভিযোগ করেছি সেখানে ভুল করা হয়েছে। লিখেছে আমার স্ত্রীর পিতার নাম মেহেদী হাসান খান। পুলিশ এসে আমার ছেলের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। আবার আমাকে বলে হাতুড়িটা কোথায়। এই ঘটনা পুলিশের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই। এই বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার এস.আই.কায়সার হাসান ফারুক জানান ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছি। আসামী জামিনে চলে এসেছে এই বিষয় আমার কিছু বলার নাই। যেহেতু বাদী ও আসামী দুই বন্ধু তাই বাদীর বাসায় গিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে এসেছি তদন্ত শেষ হলে মোবাইল ফোনটি ফেরৎ দেওয়া হবে।