ইমাম হোসেন জীবন ক্রাইম রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন ঝাউতলায় রেল
ক্রসিংয়ে ডেমো ট্রেন-বাস ও সিএনজিচালিত মাহিন্দ্রার ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৩জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮জন। স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিহত ও আহতদের (চসিক) হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডেমো ট্রেনটি নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম মূখী আসার পথে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে হয়। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত এসআই ট্রাফিক সার্জেন মাহমুদুল হাসান বলেন- লাইনম্যানের সিগনাল পোস্ট একটি ফেলা হয় কিন্তু আরেকটি না ফেলার কারণে আমার কর্তব্যরত কনস্টেবল নিজেই দাড়িয়ে জীবনঝুকি নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে অবস্থান করে।
ঘটনাক্রমে তৎক্ষনাত পেছন থেকে একটা সিটির ৭নং রোডের বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সিএনজি ও মাহিন্দ্রা টোম্পোকে প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা দেয়। উক্ত বাসটি তার সামনের গাড়ি ২টিকেই ধাক্কা দেওয়ার দরুন। ট্রেনের সামনে উল্টো ধাক্কা খেয়ে সংঘর্ষে বাসটির সামনের গ্লাস ভাঙ্গাসহ আরও গাড়ির জানমালের ক্ষতি হয়।সেইসাথে সিএনজি ও মাহিন্দ্রা টোম্পোকেও প্রচন্ডগতিতে ধাক্কা দেয়ায় পুলিশ সদস্য উক্ত সিএনজির তলে পড়ে যায়। প্রচন্ড আঘাত ও গাড়ির চাপায় পড়ে যায় এবং অন্যান্যাদেরও মূমুর্ষঅস্থায় উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ নাজিমউদ্দি জানান, সকালে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ডেমু ট্রেনের সঙ্গে বাস ও সিএনজিচালিত ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হয়েছেন আরেকজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান।
নিহতরা হলেন-নোয়াখালীর ফয়জুর রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম (৫০)।পাহাড়তলী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাতরাজ উদ্দীন শাহীন (১৯)। এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ডালি কনস্ট্রাকশনের প্রকৌশলী বাহাউদ্দিন সোহাগ(২৮)।
আহতরা হলেন– জমিরউদ্দিন (৪০), শহীদুল ইসলাম (৪০), জয়নাল (২৬), জোবাইদা (২০), আদনান (৭) ও মোহাম্মদ (১০)সহ আরো একাধিক।
প্রসঙ্গতঃ তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়-রেলওয়ের কর্মচারী লাইনম্যান আশরাফুল আলমগীর ভুঞা ঐসময়ে ডিউটিরত ছিলেন। আর ডিউটিরত লাইনম্যান হিসাবে উক্ত ক্রসিং এ দায়িত্বে কর্তব্যে কোন তার আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ছিলেন না। তার দায়িত্বে কর্তব্যে অবহেলা গাফলতি এবং ক্রুটির কারনেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানায়।
দুর্ঘটনাটি উপস্থিত প্রতক্ষদর্শী ও এলাকায় সকলের মাঝেই বিষ্ময় অবিশ্বাস্য ও শ্বাসরুদ্ধকর। যা কোন মতেই যেন মেনে নিতে পারছেনা প্রিয়জন ও স্বজন হারানোর শোক। আকষ্মিক মৃত্যুতে বেদনায় কাতর শোকসন্তপ্ত পরিবারের আর্তনাদ ও আহাকারে চিৎকার । যা সকলের মাঝেই আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে।