ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছেলে ও ভাতিজাকে চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের বিষয়টি মোবাইলে ধারণ করে এক লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূকেও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশি ভূমিকা নিরব। ইউপি সদস্য বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
জানা যায়, জেলার পীরগঞ্চ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে সরিফা খাতুন ঐ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ছেলে সুমন ও ভাতিজা কামরুল ইসলামকে মোবাইল চুরির অভিযোগ দিয়ে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে গৃহবধূর নিকট এক লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় তাকেও মারধর করে তার একটি গরু নিয়ে যায় এবং ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ইউপি সদস্যের বাহিনীর লোকজন পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিকে ঘটনার ১৩ দিন পর ৫ জুন রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে পীরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ে করেন সরিফা খাতুন। অভিযোগে ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশের নেই কোন তৎপরতা।
এলাকাবাসী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের একটি বাহিনী রয়েছে তারা এলাকার সুন্দরী অসহায় নারীদের দীর্ঘ দিন ধরে ভোগবিলাস করে আসছে। কেউ মুখ খুললে তার বাহিনী ঐ পরিবারের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। এলাকাবাসী আরও জানান, সরিফা খাতুন থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা এলাকায় আসেনি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই নিন্দনীয় কাজ। আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আসলে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, একটি অভিযোগ করেছেন গৃহবধূ সরিফা খাতুন। আর বেশি কিছু বলতে পারব না।