ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি-
জমির উপর ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করায় ঠাকুরগাঁওয়ে মোছা: মল্লিকা নামের এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে পিটিয়েছে ওই মহিলার চাচা শ্বশুর মো: রহিমউদ্দীন এবং রহিমউদ্দীনের ছেলে মো: সাদ্দাম এমন অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মল্লিকার স্বামী মো: শাহী মিঠু আহত হয়েছেন।
বর্তমানে গৃহবধু মল্লিকা ও তার স্বামী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ব্লক হরিনারায়নপুর (মুন্সিপাড়া) গ্রামে ঘটেছে।
এ ঘটনায় মো: শাহী ঠাকুরগাঁও সদর থানায় বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায় ও হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে এই প্রতিবেদককে গৃহবধূ মল্লিকা জানান, আমার স্বামীর জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে আসেন আমার চাচা শ্বশুর ও তার ছেলে সাদ্দাম। আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে অপমান অপদস্ত করেন। একটা সময় আমাকে এলোপাথারি মারতে শুরু করেন এবং আমার গায়ের কাপর ছিড়ে ফেলেন। সে সময় আমি বিবস্ত্র হয়ে যাই। একটা সময় সাদ্দামের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কোপ মারেন। এতে আামার বুকের স্তনের উপরের অংশ কেটে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয় কিছু মহিলা আমার গায়ে কাপড় দেয় এবং আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।
মল্লিকার স্বামী মো: শাহী মিঠু জানান, ঘর নির্মাণ করতে বাঁধা দেওয়া আমার চাচা ও আমার চাচাতো ভাই সহ তাদের সাথে থাকা অন্যান্যরা আমার স্ত্রীকে মারলে আমি বাঁধা দেই। এ সময় ওরা আমাদের দুজনকেই মাটিতে ফেলে দেয় আমার স্ত্রীর বস্ত্র হরণ করে এলোপাথারি মারতে থাকে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার স্ত্রীর বুকের ডান পাশের স্তনে কোপ লাগে এবং গুরুতর জখম হয়।
এ বিষয়ে মো: রহিউদ্দীনে সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তাকে মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসানোর জন্য এমন সাজানো নাটক করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: সোহাগ জানান, জমি উপর ঘর নির্মাণ কে কেন্দ্র করে একটি পারিবারিক গোন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্য আমি আমার স্থানীয় ইউপি সদস্য মারফত জানতে পারি। তবে এমন ঘটনায় কোন পক্ষই আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আর পরবর্তীতে এমন ঘটনা সেখানে যেনো না ঘটে সে জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার এস আই বিদ্যুৎ বলেন, উক্ত ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।