ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা মানব পাচারকারী দালাল চক্রের সদস্য কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী মাসা (৩৬) কে ফুলপুর উপজেলা তিতপুর গ্রাম হতে গ্রেপ্তার করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ । সে কাজী শিব্বির আহম্মেদের ছেলে। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানায় টাকার বিনিমিয় দালাল চক্রে সদস্য কয়েক জন কে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ফুলপুর উপজেলা চর আসাবট গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে মোকছেদুল ইসলাম (২৮) পারতলা গ্রামের মৃত-রমজান আলী ছেলে মোঃ আকরাম হোসাইন (৩৩) বক্তার পুর গ্রামের আলম মিয়া এর ছেলে মোরসালিন মিয়া (২২),ও দ্বারাকপুর গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ এরশাদ আলী (২০) কে ভিয়েতনাম পাঠিয়েছেন। উচ্চ বেতনে চাকুরি দেওয়ার আশ্বাসে স্থানীয় এক দালালের প্ররোচনায় ২ জনের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাএবং ২ জনের কাছ থেকে ৩ লাখ,৭০ হাজার টাকা করে মোট চৌদ্দ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিয়েতনাম পাঠিয়েছে । বর্তমানে ভিকটিমগন ভিয়েতনামে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এবং মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ঘটনার উপর ভিত্তি করে এই মর্মে বাংলাদেশ পুলিশের ফেইসবুক পেইজে একটি পোষ্ট করেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স উক্ত পোষ্টটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারকে তথ্য প্রদান করেন। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার,মুহাম্মদ আহমারউজ্জামান বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত মাধ্যমে দালাল চক্রকে সনাক্ত করেন ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সে মতে শনিবার দিন দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী (মাসা) (৩৬),নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা সত্যতা পেয়েছে ডিবি পুলিশ । এ ব্যাপারে ভিকটিমের আত্নীয় ইউসুফ আলী (৩০) ফুলপুর থানায় শনিবার ২৭জুন২০২০ তারিখ অভিযোগ করেন। যার মামলা নং ২০। রবিবার গ্রেপ্তার কৃত আসামীকে রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করছেন বলে সুত্রে জানিয়েছেন।