ডেস্ক রিপোর্টঃ
বর্তমান সময়ে দেশের স্বনামধন্য দরবেশ তার ব্যবসাকে প্রসারিত করার জন্য নিজে “রাজনীতির ব্যবসায়” যোগদান করেছিলেন। এ ব্যবসায় তার কোনো পুঁজি দরকার হয় নাই । লোন নিয়ে জামানত যোগাড় করে নিজের ব্যাংক বানালো। ব্যাংককে বললো মুনাফা বাড়িয়ে বণ্ড ছেড়ে জনগণের টাকা নাও। জনগণ হুমরি খেয়ে বন্ড কিনলো। দরবেশের পকেটে টাকা আর টাকা। শেয়ারের দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে দরবেশ হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে নিলো। তার পছন্দমতো গভর্নর বানিয়ে সুদ মাফ করে নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে আবার নতুনভাবে লোন নিল। ব্যাংকিং খাতে এমনকোনো দুর্নীতি অবশিষ্ট ছিল না যা তিনি করেননি । নব্বই দশকে টেলিভিশনে একটি নাটক দেখেছিলাম। নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনেতারা হাজারীবাগে ভাড়া থাকতেন। চামড়ার গন্ধ শুকতে শুকতে তারা চামড়ার গন্ধে আসক্ত হয়ে পরে। পরবর্তীতে আজিমপুরে বাসা ভাড়া নিলে তাদের আর ঘুম আসতো না। তাই ঘুমানোর আগে মাথার পাশে চামরার জুতো রেখে তার গন্ধ শুকতে শুকতে ঘুমিয়ে পড়তো। সম্ভবত দরবেশের টাকার ঘ্রাণ ছাড়া ঘুম আসতো না । হালাল ব্যবসা বাদ দিয়ে দুই নাম্বারি ব্যবসায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল দরবেশ অথচ তার এই অবৈধ সম্পদ ভোগ করার বংশধরও তেমন নেই। অতি সম্প্রতি দরবেশ এ্যারেস্ট হয়েছে। ৫ আগস্টের পূর্বে দেশের অনেক অর্থ, ক্ষমতালোভী ব্যবসায়ী “রাজনীতিতে” আসতে চেয়েছিল কিন্তু দরবেশকে লুঙ্গী, গেঞ্জি, দাড়িবিহীন দেখে সম্ভবত তাদের নেতা হওয়ার খায়েশ মিটেছে কিন্তু কতোদিন দরবেশের এই দুরবস্থার কথা তাদের মনে থাকবে সেটাই দেখার বিষয়।
লেখকঃ লায়ন সোবহান হাওলাদার
ভাইস চেয়ারম্যান,
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।